আব্দুর রশিদ, সাতক্ষীরাঃ
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খালসি গ্রামে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা পিংকি খাতুন (৪৭)।
ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় পিংকি খাতুনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ দিন চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণে অনীহা দেখায় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী। ফলে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন।
এ বিষয়ে গত ৪ মে ২০২৫ তারিখে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আমলী আদালত-০৮-এ একটি মামলা (স্মারক নং ১০১৩) দায়ের করা হয়েছে।
পিংকি খাতুন তার এফিডেভিটে উল্লেখ করেন, গত ৩ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান (৪৭), রেজা (৪৫), আবিরন (৬৫) ও মো. আক্কাজ আলী (৭০) যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গুরুতর জখম করে।
পরবর্তীতে পিংকির মা ও মামা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় জোর করে তার স্বজনদের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৃহনির্যাতনের শিকার হন। সংসারে শান্তির জন্য তার মা প্রায় ২ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র ও একটি মোটরসাইকেল দেন। এরপরও তার স্বামী বিভিন্ন সময়ে জোর করে গহনা নিয়ে নেন এবং ব্যাংক অ্যাপস ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
পিংকি জানান, তিনি ঢাকায় একটি মোবাইল কোম্পানিতে চাকরিরত থাকাকালীন স্বামীর জন্য দুটি স্মার্টফোন কিনে দেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীর পরিবার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সচেতন এলাকাবাসী ও নির্যাতনের শিকার পিংকি খাতুন প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।