কেন্দুয়ায় ইয়াছমিন আক্তারের ‘প্রতারণা ও মামলার’ নাটক

নাছিমা খাতুন সুলতানা: 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের বগবতীপুর গ্রামের ইয়াছমিন আক্তারকে ঘিরে উঠেছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। একই নারীর একাধিক বিয়ে, স্বামীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া এবং পরে উল্টো মামলা দায়েরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এফিডেভিটের মাধ্যমে আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের শাসনকান্দি গ্রামের মো. শাহ আলমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইয়াছমিন আক্তার। কিন্তু মাত্র দুই মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। স্বামী শাহ আলম জানতে পারেন, ইয়াছমিন পূর্বে আরও দুটি বিয়ে করেছেন।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। একপর্যায়ে ১৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ইয়াছমিন আক্তার শাহ আলমকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন। এর পর থেকেই শাহ আলম নিখোঁজ। তার পরিবার অভিযোগ করছে— ছেলেটিকে কোনোভাবে আটকে রাখা হয়েছে অথবা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

এরই মধ্যে ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ইয়াছমিন আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, নেত্রকোনায় মামলা করেন শাহ আলমকে আসামি করে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) নির্দেশ দেন।

এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সাংবাদিকরা সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করলে, এলাকার বহু মানুষ জানান— ইয়াছমিন আক্তার দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন। তার চলাফেরা ছিল “উশৃঙ্খল ও রহস্যজনক”। কেউ কেউ বলেন, “গ্রামের এমন যুবক খুব কম আছে যে তাকে চেনে না।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইয়াছমিন কৌশলে এবং প্রলোভনের মাধ্যমে শাহ আলমকে বিয়েতে বাধ্য করেন। এখন তাকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতারণা করছেন। তারা মামলার সঠিক তদন্ত এবং ইয়াছমিনের অতীত সম্পর্কে তদন্তের দাবি জানান।

শাহ আলমের পরিবার ও এলাকাবাসী নেত্রকোনা জেলার প্রশাসন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন— “আমরা চাই, সত্য উদঘাটন হোক। নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *