বাংলাদেশের গীতাশিক্ষা কমিটি বোয়ালখালী পৌরসভার সংসদের পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

প্রভাস চক্রবর্ত্তী, বোয়ালখালী:

গীতাশিক্ষা কমিটি বোয়ালখালী পৌরসভার সংসদ গত ১১ জুলাই শুক্রবার একটি প্রগতি ও গীতাশিক্ষা কেন্দ্রিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে বক্তারা একে অপরকে সন্তানের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে অভিভাবকদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষত, তারা বলেন, ‘‘শুধুমাত্র গীতাশিক্ষাই মানুষের জীবনে সঠিক পথের দিশা দিতে পারে।’’ একসাথে সবাই গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

অনুষ্ঠানের কার্যক্রম

উক্ত অনুষ্ঠানের সূচনা হয় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে, যা করেন গোমদন্ডী যোগাশ্রমের কর্মাধ্যক্ষ স্বামী ছত্রেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ

এতে সভাপতিত্ব করেন বাগীশিক পৌরসভার সংসদের সভাপতি শিক্ষক কৃষ্ণ গোপাল দাস, যিনি উপস্থিত সকলের সামনে বক্তৃতা দেন এবং গীতাশিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া, গীতাশিক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনিদাশ এর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. রজত বিশ্বাস, সাবেক গাইনি বিভাগের প্রধান, ঝুন্টু চৌধুরী, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি, এবং বাবলু ঘোষ বাবুন, দক্ষিণ জেলা সংসদের প্রধান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানটির প্রধান বক্তা ছিলেন লায়ন কৈলাশ বিহারী সেন, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ জেলা সংসদের সভাপতি পুলক কান্তি সেন, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার, অর্থ সম্পাদক বাবলু কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন দত্ত সপু, এবং নির্বাহী সদস্য সুলাল ধর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গীতা শিক্ষার ভূমিকা

বক্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনসাধারণকে গীতা শিক্ষা গ্রহণের ওপর জোর দেন এবং কিশোর-কিশোরীদের ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া মানুষ কখনোই সঠিক পথে চলতে পারে না, এবং গীতাশিক্ষা একমাত্র সঠিক দিশা দেখায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝুন্টু চৌধুরী, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি, যিনি উপস্থিত সবাইকে ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘ধর্মীয় শিক্ষা মানুষের জীবনকে সুন্দর এবং সমৃদ্ধ করে তোলে।’’

সম্মাননা প্রদান

অতিথি বরণের পর, প্রিয়ঞ্জিত চক্রবর্ত্তী এবং চিন্ময় চৌধুরী তাদের সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। পরে, গীতা স্কুলের শিক্ষার্থীরা সহস্রকন্ঠে গীতা পাঠ করেন, যা সকলের মনকে স্পর্শ করে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে আনন্দ সংগীত একাডেমি ভক্তিমূলক গান ও নৃত্য পরিবেশন করে।

অনুষ্ঠানের পর, পৌরসভা সংসদের পক্ষ থেকে দুজন কৃতী শিক্ষার্থীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় এবং যাদের রক্তদান করে মানুষের জীবন রক্ষা হয়েছে তাদেরও সম্মাননা দেয়া হয়।

শেষকথা

অনুষ্ঠানটির পর, পৌরসভার সংসদের সভাপতির বক্তব্যের পর দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত হয়, এবং সকলে একে অপরকে গীতার আলো ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

এই আয়োজনের মাধ্যমে গীতাশিক্ষার গুরুত্ব ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার গুরুত্ব পুনরায় উঠে আসে, যা তরুণদের সঠিক দিশা দেখাতে সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *