বরিশাল ব্যুরো চীফ:
বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা সচিবের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. মাসুদ হাওলাদার।
শিক্ষা সচিব বরাবরে লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৭ জুলাই বরিশালের স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করি। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হই।
এমতাবস্থায় বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের জন্য তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে বর্তমান পদ থেকে বরখাস্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় আবেদনে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. মাসুদ হাওলাদার বলেন, আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নিকট জনস্বার্থে লিখিত আবেদন করেছি। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা দুঃখজনক।
তিনি আবেদনের অনুলিপি দুদকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, বরিশালের স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকায় এবং অনলাইন গণমাধ্যমে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলো অ্যাডভোকেট এম. মাসুদ হাওলাদারের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ১৪ জুলাই শিক্ষা সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন করেন।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু মামুনের বিরুদ্ধে আর্থিক অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, অনিয়ম, সরকারি টাকা আত্মসাত, কর্তব্যে অবহেলা, সরকারি অর্থ আত্মসাতে সহযোগিতা প্রদান, স্বেচ্ছাচারিতা, গোপনে নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা নয়ছয়সহ নানা অভিযোগ। এছাড়া সংবাদে উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আবু মামুন পছন্দের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট সদস্যদের দেওয়া হয় বিধি বহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা। এমনকি পরীক্ষার ডিউটি আদায় না করলেও দেওয়া হয় পরীক্ষা ডিউটির সম্মানী। আবু মামুনের আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলা, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব এবং দুর্নীতির কারণে কলেজের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এসব সংবাদ প্রকাশের পর কয়েকটি পত্রিকায় টাকার বিনিময়ে প্রতিবাদলিপি ছাপিয়ে তা বিভিন্ন দপ্তরে বিলি করেন অধ্যক্ষ আবু মামুন। সেই প্রতিবাদলিপিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে মডেল কলেজ বিরোধী চক্র আখ্যা দেওয়া হয়। অবশ্য পরে এ ধরনের বাক্য ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।