মোঃ আনজার শাহ:
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী জনপদ কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। একদিকে যেমন দেশের সবচেয়ে প্রবাসীবহুল জেলা হিসেবে কুমিল্লার আলাদা পরিচিতি রয়েছে, অন্যদিকে অর্থনীতি, ক্রীড়া এবং প্রশাসনিক গুরুত্ব বিবেচনায়ও এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত।
দেশের সবচেয়ে বেশি প্রবাসী কুমিল্লার। বিদেশে কর্মরত লাখো কুমিল্লাবাসী প্রতিনিয়ত দেশে ফেরেন, আবার ফিরে যান কর্মস্থলে। সরাসরি কুমিল্লায় বিমানবন্দর থাকলে প্রবাসীরা সহজেই নিজ এলাকায় অবতরণ করতে পারবেন। এতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উপর চাপ অনেকাংশে কমে যাবে, যা গোটা দেশের বিমান চলাচল ব্যবস্থাকে স্বস্তি দেবে।
কুমিল্লা হতে যাচ্ছে নতুন বিভাগ — দরকার বিভাগীয় সুবিধা
প্রশাসনিক কাঠামোর বিবেচনায় কুমিল্লাকে নতুন বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা এখন সময়ের দাবি মাত্র। বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা প্রশাসনিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও উন্নয়ন খাতে ব্যাপক সুবিধা এনে দেবে।
কুমিল্লা ইপিজেড — আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র
বাংলাদেশের ৮টি ইপিজেড (Export Processing Zone)-এর একটি রয়েছে কুমিল্লায়। এই অঞ্চলে প্রতিদিনই অসংখ্য বিদেশি বিনিয়োগকারী ও কর্মকর্তার আগমন ঘটে। একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হলে ব্যবসায়িক যোগাযোগ আরও সহজ হবে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।
কুমিল্লায় নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচসহ বড় ধরনের খেলাধুলার আয়োজনের জন্য কুমিল্লায় আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ চলছে। দর্শক, খেলোয়াড় ও অতিথিদের যাতায়াতের জন্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
অর্থনীতি, প্রবাসী জনগোষ্ঠী, ক্রীড়া ও প্রশাসনিক বিবেচনায় কুমিল্লা এখন একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তুত। কুমিল্লা এয়ারপোর্ট শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি হবে দেশের উন্নয়নের উড়ন্ত সোপান।