আব্দুর রহিম জয়,বগুড়াঃ
গত ২৭ নভেম্বর ২০১৭ সালে পূর্ব শত্রুতার জেরে গাবতলী উপজেলার নিজ দুর্গাহাটা গ্রামের তোজাম্মেল হক হত্যার ঘটনায় মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে স্বাক্ষীদের হুমকি-ধামকি প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে আসামীরা স্বাক্ষীদের বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন তারা।
হত্যার ঘটনায় ২৮ নভেম্বর নিহতের ভাই মোঃ মমিন মোল্লা ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের নামে গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় গাবতলী উপজেলার নিজ দুর্গাহাটা গ্রামের মৃত ওসমান মোল্লার ছেলে তোজাম্মেল হক (৪৫) একই উপজেলার বৈঠাভাঙ্গা পূর্বপাড়ায় বিবাহের দাওয়াত শেষে মোটরসাইকেল যোগে সাথে থাকা ছোট ভাই নয়ন মোল্লা ও প্রতিবেশী ভাতিজা মোঃ আসাদকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসম একই গ্রামের বাবলু প্রাং, পিন্টু প্রাং, মোঃ মানিক, দেলোয়ার হোসেন দলু, মোঃ পাপ্পু, মোঃ মিশু,মোঃ পল্লব, মোঃ আব্দুল মতিন মিঠু, মোঃ শান্ত ও মোঃ আশিক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তোজাম্মেল, নয়ন ও আসাদের উপর হামলা করে। তাদেরকে এলোপাতারি মারপিট করতে থাকে। আসামীদের মারপিটে আসাদ দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করে। তখন আসামীরা রামদা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদেশ্যে তোজাম্মেল এর মাথায় ও ঘাড়ের পিছনে একের পর এক কোপাতে থাকে। তাদের আঘাতে তোজাম্মেল রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তোজাম্মেল হককে দ্রুত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর গাবতলী থানা পুলিশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তোজাম্মেলের লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ মমিন মোল্লা ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের নামে গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী যারা ঘটনা দেখেছে তারা আদালেত সত্য সাক্ষী দেওয়ার এলাকা ছাড়া আট বছর হলে। হত্যার ৮ বছর অতিক্রম হলেও আসামীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে স্বাক্ষীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এলাকায় থাকতে পারছে না আসামীদের ভয়ে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।