মোঃ জাহাঙ্গীর আলম:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের শাকরাইল নতুন বাজার সংলগ্ন মোকছেদ আলী একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া (প্রায় ১৫–১৬) আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিক আবিরকে বিয়ে করেছেন। আবির জামশা পূর্বপাড়ার সৌদী প্রবাসী জমো মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুরাইয়ার পরিবার সম্প্রতি তার বিয়ের আয়োজন করছিল এবং আংটি পরানোও সম্পন্ন করতে এসেছিল। তবে তিনি প্রেমিক আবিরের হাত ধরে পালিয়ে যান এবং পরে গোপনে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আবিরের কাকা কমোর উদ্দিন জানান, বিয়ের বিষয়টি ইউপি সদস্য সাঈদ ও এলাকায় অনেকেই উপস্হিতিতে অনুষ্ঠানটি গোপনে সম্পন্ন করা হয়েছে। সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গেলে কমোর উদ্দিনের জমাতা সোহেল তার সহোযোগী নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় সাংবাদিকের পরিচয়পত্র নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
বাংলাদেশের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী, মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১ বছর। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেওয়া বা তাতে সহযোগিতা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক, বিবাহ রেজিস্ট্রার ও সহায়তাকারীরা জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন।
মোকছেদ আলী একাডেমি হাইস্কুলের সভাপতি নাজীর আহম্মেদ টিপু বলেন, “এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।”
শিমুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ সাঈদ বলেন, “ঠিক আছে, অভিযান পরিচালনা করুন।”
শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ কামাল হোসেন কে একাধিক বার ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জাকির হোসেনকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি প্রথমে বলেন, “ব্যস্ত আছি,” এবং পরে ফোন কেটে দেন। পুনরায় ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।