স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সোমবার (১৮ আগস্ট) পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণা তিনি দিয়েছেন একটি নৌ ধ্বংসকারী ‘চো হিওন’ পরিদর্শন করার সময় এবং যুদ্ধজাহাজের অস্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পাওয়ার পর।
দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) কিম জং উনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র সামরিক জোট এবং পেশীশক্তির নড়াচড়ে যুদ্ধের সূত্রপাতের তাদের ইচ্ছার সবচেয়ে স্পষ্ট প্রকাশ।”
কিম জং উন আরও বলেন, “বিদ্যমান পরিস্থিতির জন্য আমাদের বিদ্যমান সামরিক তত্ত্ব ও অনুশীলনে আমূল এবং দ্রুত পরিবর্তন আনা এবং পারমাণবিকীকরণের দ্রুত সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।” তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় পারমাণবিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকার অভিযোগও করেছেন।
পিয়ংইয়াং নিয়মিত এসব মহড়াকে আগ্রাসনের প্রস্তুতি হিসেবে দেখায় এবং প্রায়ই এর প্রতিক্রিয়ায় অস্ত্র পরীক্ষা চালায়। তবে সিউল ও ওয়াশিংটনের দাবি, এসব মহড়া শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
গত ১৮ আগস্ট সাউথ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি থাকলেও তাদের লাইভ-ফায়ার মহড়া স্থগিত করার কোনো পরিকল্পনা নেই। মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র লি কিয়ুং-হো জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী দ্বীপগুলোতে মহড়া বন্ধ করার কোনো পর্যালোচনা হয়নি। এ মহড়া বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া ‘উলচি ফ্রিডম শিল্ড’ শুরু হওয়ার দিনেই এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
বিশেষজ্ঞরা পিয়ংইয়াংয়ের সম্ভাব্য জবাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এদিকে শান্তি স্থাপন ও উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং। ২০১৮ সালের আন্তঃকোরীয় সামরিক চুক্তি সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে তিনি নতুন তথ্য শেয়ার করতে পারছেন না। তবে মন্ত্রণালয় কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সমর্থন করে।
এদিকে গত বছরের মতোই মহড়ার পরিসর রাখা হয়েছে। তবে অত্যন্ত গরম আবহাওয়ার কারণে এবং বছরব্যাপী মহড়া বজায় রাখতে প্রায় ৪০টি নির্ধারিত ফিল্ড ট্রেনিংয়ের অর্ধেকই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।