রুমা হোস্টেলে শিশু গণধর্ষণ: দ্রুত সময়ে গ্রেফতার ৩ আসামি

কামরুল ইসলাম:

রুমা উপজেলায় ঘটে যাওয়া একটি শীর্ষক গুরুতর ঘটনায়, গত ৮ ও ৯ আগস্ট রাতে এক শিশু ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য ভিকটিমকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

ঘটনার বিস্তারিত অনুসারে, ০৮/০৮/২৫ রাত ৯.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম তার হোস্টেল কক্ষে অবস্থানকালে গ্রেফতারকৃত তিন আসামি—ক্যাসাইওয়াং মার্মা, কান্নাওয়াং ও উহাই সিং মার্মা—এবং এক পলাতক আসামি চহাই মং মার্মা (১৯) ভিকটিমকে হোস্টেল থেকে বের করে পাইন্দু হেডম্যানপাড়ার পশ্চিম পাশে অবস্থিত টিলার উপর সেগুন বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ চালানো হয়। ভিকটিমকে কেউ জানালে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ভিকটিম ০৯/০৮/২৫ রাত ২.০০ ঘটিকায় হুমকির ভয়ে মুক্তি পায় এবং হোস্টেলে ফিরে আসে।

পরবর্তীতে ০৯/০৮/২৫ রাত ৯.৩০ ঘটিকায় পলাতক অপর আসামি ক্যওয়াংসাই মামা (২০) ভিকটিমের হোস্টেল কক্ষে প্রবেশ করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে হোস্টেলের অন্য একটি কক্ষে ধর্ষণ করে।

ঘটনা সম্পর্কে ১৯/০৮/২০২৫ তারিখে গোপন সূত্রে জানতে পেরে রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এরপর বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মো: শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার)-এর নির্দেশনায় রুমা থানার নেতৃত্বে পুলিশের এবং সেনাবাহিনীর যৌথ আভিযানিক দল ২০/০৮/২৫ রাত ২.৩০ ঘটিকা থেকে সকাল ৬.৩০ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আরও ২ আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। ভিকটিম শিশুটি বর্তমানে রুমা থানার শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছেন এবং তার যথাযথ শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *