স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, গাজা শহর দখলের ইসরাইলি পরিকল্পিত হামলা আগের প্রচেষ্টার মতোই ব্যর্থ হবে। বুধবার (২০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে হামাস এ মন্তব্য করেছে। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বুধবার গাজা শহর দখলের উদ্দেশ্যে অপারেশন ‘গিডিয়ন’স চ্যারিওটস ২’ নামে অভিযান শুরুর পরিকল্পনা অনুমোদন করার পর হামাস এ বিবৃতি দিয়েছে।
হামাস বলেছে, “এই অভিযান আগেরগুলোর মতোই ব্যর্থ হবে। ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না এবং গাজার দখল কোনো আনন্দ বয়ে আনবে না।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই পরিকল্পনাটি গাজা উপত্যকায় ২২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান গণহত্যা বন্ধে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তিতে কাজ করা মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টাকে অসম্মান করে।”
হামাস জোর দিয়ে বলেছেন, “তারা মধ্যস্থতাকারীদের উপস্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করলেও, ইসরাইলি সরকার শহরকে ধ্বংস এবং দক্ষিণে জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার লক্ষ্যে গাজার নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নৃশংস যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবের প্রতি অবজ্ঞা এবং সাড়া না দেওয়া থেকে বোঝা যায়, তিনিই চুক্তি লঙ্ঘনকারী, বন্দিদের জীবনকে তিনি মূল্য দিচ্ছেন না এবং তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক নন।”
হামাস মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধে ইসরাইলের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।
গত ৮ আগস্ট ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজার উত্তরে অবস্থিত গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে, নেতানিয়াহু এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইসরাইল গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে দখল করার লক্ষ্য নিয়েছে।
গতকাল বুধবার কাটজ গাজা শহর দখলের পরিকল্পনাও অনুমোদন করেছেন। এরপরই বৃহস্পতিবার উপত্যকায় অভিযান শুরু করেছে দখলদার বাহিনী। পরিকল্পনা অনুসারে, প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে প্রথমে দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত করা হবে। অন্যদিকে ব্যাপক হামলা চালিয়ে শহরকে অবরোধ করা হবে এবং তারপর দখল করা হবে।