ভোলা জেলা প্রতিনিধি:
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় বিএনপির রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় থেকে যুবসমাজের আস্থা অর্জন করেছেন মোঃ শামসুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা। তিনি বর্তমানে ভোলা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি এবং মনপুরা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮৬ সালে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচি ধারণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পরপর দুইবার তিনি মনপুরা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির পথচলায় কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি এবং কোনো সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করেননি বলে জানান তিনি।
নিজ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শামসুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা বলেন,
“আমি ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অনেক জেল খেটেছি, অগণিত নির্যাতন ও হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, রাজপথে রক্ত ঝরাতে হয়েছে। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হইনি। যতদিন বেঁচে থাকব, জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রাজপথে থাকব।”
তিনি আরও বলেন, “আমার লক্ষ্য হলো মনপুরা থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূল করা। আমি চাই যুবসমাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে একটি আধুনিক মনপুরা গড়ে তুলতে। জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আমি রাজনীতি করি, আর এই ভালোবাসাকে পুঁজি করেই ভবিষ্যতে মনপুরার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।”
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু সংগঠনিক দায়িত্বই পালন করেননি, রাজপথে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং কৃষকদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে তিনি মনপুরার সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।
মনপুরার তরুণ সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়েই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তার মতে, রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতা নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাই তিনি সর্বদা “শুভ কামনায় আপনাদের পাশে আছি” শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, শামসুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লার মতো অভিজ্ঞ, সাহসী ও ত্যাগী নেতা থাকায় মনপুরার রাজনৈতিক অঙ্গন আরও শক্তিশালী হবে এবং যুবসমাজ ইতিবাচকভাবে সংগঠিত হবে।