নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাহাড়, সমুদ্র আর আকাশের একত্রিত চিত্র—এ যেন রঙে রঙে আঁকা কোনো ছবির ফ্রেম। কক্সবাজারের মনখালী গ্রাম এখন পরিচিতি পেয়েছে কক্সবাজারের সুইজারল্যান্ড নামে।
স্থানটি আলোচিত হয়ে ওঠে সংবাদকর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইমরুল কাওসার ইমনের একটি ভিডিওর মাধ্যমে। ভিডিওতে তিনি বলেন, “এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হলে সুইজারল্যান্ড নয়, চলে আসুন কক্সবাজারের মনখালীতে।”
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সাড়া পড়ে পুরো কক্সবাজার জুড়ে। স্থানীয়রা নিজেরাই মনখালীতে কক্সবাজারের সুইজারল্যান্ড লেখা বোর্ড স্থাপন করেন। এরপর থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে।
ভিডিওটি তৈরি ও প্রকাশের পর মনখালীতে নতুন জীবন এসেছে। স্থানীয়রা এখন আশাবাদী, এই ছোট গ্রামটি হতে পারে বাংলাদেশের পর্যটনের নতুন মুখ।
সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম জিসান বলেন, “মনখালী এমন এক স্থান, যা বহুদিন অবহেলিত ছিল, অথচ পর্যটনের অপার সম্ভাবনা ছিল বরাবরই।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে আমাদের নিজেদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।”
উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেলিম সিরাজী বলেন, “মনখালী একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। সরকার যদি নজর দেয়, এটি কক্সবাজারের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্পট হয়ে উঠতে পারে।”
টেকনাফ উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম সিকদার বলেন, “কক্সবাজারের সুইজারল্যান্ড ইতোমধ্যে পরিচিতি অর্জন করেছে। এখানে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। সরকার সঠিকভাবে নজর দিলে এটি দেশের অন্যতম সুন্দর পর্যটন স্পট হয়ে উঠবে।”
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মনখালীর আনুষ্ঠানিক যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান, মো: রিদোয়ান, শিক্ষাবিদ সৈয়দ আহম, নুরুল আমিন, মিজান ইবনে হাকিম, সৈয়দ কাশেম মিসকু সহ শত শত মানুষ।
এটি প্রমাণ করে, বাংলাদেশের প্রতিটি কোণায় লুকিয়ে আছে অসংখ্য সৌন্দর্য। প্রয়োজন শুধু সেগুলো তুলে ধরা—যা ইতোমধ্যে দেখিয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইমন। এখন প্রত্যাশা, মনখালী যেন দেশের পর্যটন মানচিত্রে স্থায়ী জায়গা করে নেয়।