প্রভাস চক্রবর্ত্তী,বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম :
ঐত্যবাহী কালুরঘাট রেলসেতু দীর্ঘ্যদিন বন্ধ থাকর পর এখন উন্মুক্ত করা হচ্ছে। সেতুর উপর কার্পেটিংও শেষ পর্যায়ে।
যানবাহন ও পথচারী চলাচল করতে পারবে। প্রথমবারের মতো সেতুর দক্ষিণ পাশ দিয়ে নির্মিত ওয়াকওয়ের কাজও শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে কর্ণফুলী নদীর উভয় পারের মানুষ চলাচল শুরু করেছে। ওয়াকওয়ে দিয়ে হেঁটে পারহচ্ছে এমন একজন পোশাক শিল্পে কর্মি সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফেরী অনেক সময় একটা চলে, বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি হতে হতো।নৌকার মাঝিরা মানুষকে খেলার পুতুলের মত ইচ্ছে অনুযায়ী নাচাতো। শুধু তাই নয় এ ফেরীতে উঠতে গিয়ে অনেকের অকালে প্রান চলেগেছে।এখন পারাপার করতে পেরে আমরা খুশি।
সেতুর ওপর ট্রেন এবং যানবাহন চলাচলের সময় পাশের ওয়াকওয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে পথচারীরা।
কারিগরি দিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি যানবাহন ও পথচারী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত এ প্রতিবেদনকে বলেন, ব্রিজের ওপরে কার্পেটিংয়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে সেতুতে প্রথমবারের মতো যুক্ত হওয়া ওয়াকওয়ের কাজ। আশাকরছি কোরবানির ঈদের আগে পথচারীদের জন্য সেতুর ওয়াকওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে।
বর্তমানে উভয় পারের মানুষ ওয়াকওয়ে দিয়ে চলাচল করছে। জুলাই থেকে সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে।
রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানান, বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। সংস্কারের প্রথম ধাপ শেষ করে গত ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারগামী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও যানবাহন ও পথচারী চলাচলের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে সময় লাগে। সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের পথ থাকায় রেল ট্র্যাকের অভ্যন্তরে পানি জমে পাত ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এ কারণে বছরের বিভিন্ন সময় রেল ট্র্যাক মেরামতের প্রয়োজনে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ রাখা হতো। তবে এবার বিদ্যমান পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ রাখা হয়েছে। এরপর ওই কংক্রিট ঢালাইয়ের ওপর পিচ দিয়ে সড়কপথ নির্মাণ করা হয়। এতে সড়ক ও রেলপথ উভয়ই আগের চেয়ে শক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য ১ ডিসেম্বর পর্যটন নগরী কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দোহাজারী–ক্ক্সবাজারের রেললাইন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরও আগে ৫ নভেম্বর সংস্কাররত কালুরঘাট সেতু দিয়ে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে ট্রায়াল রানের ট্রেন কক্সবাজার যায়।
বোয়ালখালীর মানুষের নুতন সেতুর স্বপ্ন পূরণ না হলেও অন্তত শান্তনা পাবে,জ্যামে দীর্ঘক্ষন বসে থাকতে হবেনা।