আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজন, অস্ত্র জব্দ

আলমাস হোসাইন :

ঢাকার আশুলিয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র ও চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যৌথ বাহিনীর নিয়মিত টহল টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয়

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—

  • আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ ডেন্ডাবর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ টিপু (হাতকাটা টিপু নামেও পরিচিত)

  • আশুলিয়ার গাজীরচট মধ্যপাড়া এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে আমির হোসেন

  • গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর মানিকদা গ্রামের জামিল আহমেদের ছেলে রহমতুল্লাহ শেখ

অভিযান ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র

যৌথ বাহিনী জানায়, প্রথমে বাইপাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত আমির হোসেন ও রহমতুল্লাহ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের মূল নেতা নূর মোহাম্মদ টিপু ওরফে হাতকাটা টিপুকে।

অভিযান চলাকালে তাদের হেফাজত থেকে দেশীয় অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম, মোবাইল ফোন এবং অপরাধের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান,
“যৌথ বাহিনী চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আলামত জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

স্থানীয়রা জানান, বাইপাইল ও আশপাশ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় ছিল। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা হতো। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানের ফলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেয়েছে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন।

রিপোর্টার নোট

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে একাধিক চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালালেও কিছু চক্র নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে হাতকাটা টিপুর নাম দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় আতঙ্কের কারণ হয়ে ছিল। এবার তার গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি কার্যক্রম কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *