মোহাম্মদ হোসেন সুমন:
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অপরাধবিরোধী কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় একটি চক্র ফেসবুকের মাধ্যমে অপপ্রচার ও মানহানিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর পোস্ট ও ট্রল করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মানহানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে, এবং প্রয়োজনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান মাহমুদ বলেন, “একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি এবং আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। যত বাধাই আসুক, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।”
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারী এর আগেও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফেসবুক বুলিং করে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছে। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই প্রশাসনের নজর রয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, “চক্রটি কেবল টুরিস্ট পুলিশ নয়, আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছেও চাঁদা দাবি করেছে। আমরা তাদের অতীত কর্মকাণ্ড ও সংযোগ বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
বর্তমানে সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্ট ও আইডিগুলো পর্যবেক্ষণে রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানহানির ধারা ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছে প্রশাসন।
টুরিস্ট পুলিশ সাধারণ জনগণকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে কেউ এ ধরনের অপপ্রচারের শিকার হলে বা তথ্য পেলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
সাবধানতা ও সচেতনতা: সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি কিংবা ভুয়া তথ্য ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। টুরিস্ট পুলিশ বারবার বলেছে — আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।