এনসিপি নেতার ৪৯ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতা আব্দুর রহিমকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৪৯ সেকেন্ডের একটি আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর জেলা জুড়ে চলছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহিম মাদারীপুর জেলা এনসিপির কার্যকরী সদস্য। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য হিসেবেও পরিচিত।

ভিডিও ও ঘটনার বিবরণ

ভিডিওতে দেখা গেছে, রহিমকে এক নারীর সঙ্গে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অন্তরঙ্গ অবস্থায় অবস্থান করতে। ঘটনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় রহিম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ভিডিওতে যাকে দেখা গেছে তিনি তার স্ত্রী।

কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীরা রেস্টুরেন্টে থাকা ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করার পর, তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি রহিমের স্ত্রী নন। এসময় রহিম সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধও জানান।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও রাজনৈতিক তোলপাড়

ঘটনা প্রকাশের পর জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে নানান আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। জেলা শহরের রাজনৈতিক অঙ্গনেও বিষয়টি তীব্র সমালোচনার শিকার। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আব্দুর রহিমের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর মাদারীপুর জেলা কমিটির সদস্যরা মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নেতাদের প্রতিক্রিয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলা শাখার সাবেক সদস্য সচিব মাসুব বিল্লাহ বলেন,

“আমরা এই ঘটনায় বিচলিত। একদিকে যেমন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা জনসম্মুখে প্রকাশের এই প্রবণতা হতাশাজনক, তেমনি কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন অসামাজিক কার্যকলাপও কাম্য নয়।”

তবে এনসিপির মাদারীপুর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক শহিদুল ইসলামসহ একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এখনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নেতৃবৃন্দের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড সামাজিক বিশ্বাস ও রাজনৈতিক প্রতিপত্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। এনসিপির মতো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতাদের আচরণ দলের ভাবমূর্তি ও জনসমর্থনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

এই ঘটনায় জেলাজুড়ে চলছে সমালোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলে সচেতনতারও আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে ব্যক্তিগত আচরণ দলের সাধারণ কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *