আব্দুর রশিদ:
ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসর ১১ নং কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিপঙ্কর সরকার দ্বীপের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তুহিন উল্লাহ তুহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন টুকু, ইউপি সদস্য সুজিত কুমার উজ্জ্বল মিত্র, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শহিদুল সরদার, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্তারুল গাজী, সাবেক সেক্রেটারি আজিজ সরদার, মান্নান সরদার, হক আলী, রমজান আলী, আ. রাজ্জাক, শাহজাহান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও আলোচনা রাখেন।
তুহিন উল্লাহ তুহিন বলেন, চেয়ারম্যানের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড ও বঞ্চনার শিকার মানুষ আজ প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে, অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ করছে। চেয়ারম্যান কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় সাধারণ মানুষের হক নষ্ট করেছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি করেনি। কেউ করে থাকলে অভিযোগ করুন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইউনিয়নের সুন্দর চেয়েছি, কিন্তু চেয়ারম্যান মেম্বারদের পাশ কাটিয়ে জনগণকে বঞ্চিত করেছে। পরিষদের টাকা পরিষদের অ্যাকাউন্টে না রেখে ব্যক্তি অ্যাকাউন্টে রেখে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যবহার করছে। জেলার সুপরিচিত ব্যক্তি রুহুল আমিনের মৃত্যুর পর ওয়ারিশদের ফাঁকি দিতে মিথ্যা ওয়ারিশ কায়েম সার্টিফিকেট দিয়েছেন। গরিবের পাশে না থেকে ধনীদের সরকারি অর্থ পাইয়েছেন। লাঞ্ছিত, বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার সুযোগ বঞ্চনাকারী চেয়ারম্যানকে অপসারণের লক্ষ্যে ১২ জন মেম্বারের মধ্যে ১০ জন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, যাদের মধ্যে ৮ জনই হিন্দু সমাজের।
ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন টুকু, মেম্বার উজ্জ্বল মিত্র ও অন্যরা জানান, আওয়ামী লীগের আমলে স্বৈরাচারী আচরণকারী চেয়ারম্যান আজও আচরণ পরিবর্তন করেননি। আগের মতো এখনও তিনি মেম্বারদের বাদ রেখে নিজের ইচ্ছায় সবকিছু করে আসছেন। এখনো তিনি বিএনপি-জামায়াতের তালিকাকে অবজ্ঞা করে চলেছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় ৪ জন মেম্বারকে বাদ রেখে ৮ জনের স্বাক্ষর নিয়ে নির্বাচন করা হয়। কাদাকাটির ৯ ওয়ার্ডের একটি রাস্তার কাজ তিনি করেননি। রাস্তা সংস্কারের টাকাও মেরে খেয়েছেন। তারা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দ্রুত অপসারণের কাজ করতে জোর দাবি জানান।