মোঃআনজার শাহ :
দক্ষিণ কোরিয়ার ডং-আ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী একে আজাদ তাঁর মাস্টার্স জীবন ও পরবর্তী কর্মজীবনের প্রস্তুতি নিয়ে একটি দৃষ্টান্তমূলক পোস্ট করেছেন, যা প্রবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এই লেখায় তিনি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে সুচিন্তিত পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যা কোরিয়ায় পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন পথের দিশা দিতে পারে।
পোস্টটিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কোরিয়ায় আসার পর থেকেই তাঁর লক্ষ্য ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট। মাস্টার্স সম্পন্ন করার জন্য যেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী দুই বছরের সময়সীমাকে বেছে নেন, সেখানে তিনি শুরু থেকেই আড়াই বছরের একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে প্রতিটি দিনের জন্য তাঁর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে তার প্রায় ৯০ শতাংশই তিনি বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন।
আজাদ তাঁর অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, অনেকেই দ্রুত মাস্টার্স শেষ করে পরবর্তীতে কী করবে, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। কিন্তু তিনি তাঁর সময়, শ্রম এবং অর্থ কেবল ভবিষ্যতের ভিত্তি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ব্যয় করেছেন। তাঁর মতে, কোরিয়ায় ডি-২ ভিসায় আসা শিক্ষার্থীদের এই ভিসাটির অপরিসীম গুরুত্ব বোঝা উচিত, কারণ এটি অনেক ভিসার চেয়েও বেশি মূল্যবান। এটি কেবল একাডেমিক পড়াশোনার জন্য নয়, বরং সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ক্যারিয়ারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তাঁর ব্যাচের অনেকেই ইতোমধ্যে ডি-২ এবং পরবর্তীতে ডি-১০ ভিসাও শেষ করে ফেলেছেন। অথচ তাঁর এখনো ডি-২ ভিসার ছয় মাস বাকি, এবং ডি-১০ ভিসার পুরো সময়টাই অব্যবহৃত রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, তিনি শুরু থেকেই তাঁর পরিকল্পনাটি সেভাবেই সাজিয়েছিলেন।
কোরিয়ায় জীবনযাত্রার কঠিন দিকটিও তিনি তুলে ধরেছেন। পড়াশোনা, কাজ, পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে নিজের প্রোফাইল তৈরি করা যে কতটা কঠিন, তা তিনি স্বীকার করেন। তাই তিনি সকল শিক্ষার্থীকে কোরিয়ায় পৌঁছানোর পর থেকেই নিজেদের প্রোফাইল গঠনে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
একে আজাদের এই ব্যতিক্রমী চিন্তা এবং তার সফল বাস্তবায়ন কেবল একটি ব্যক্তিগত সাফল্যের গল্প নয়, বরং এটি হাজারো শিক্ষার্থীর জন্য একটি অনুপ্রেরণা, যারা প্রবাসে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে কঠোর পরিশ্রম করছেন
আমাকে নিউজটি সাহিত্যিক ও প্রাঞ্জল ভাষায় তৈরি করে দিবে যা পরে পাঠকদের মনে জায়গা করে নিবে এবং হেডলাইনটি আরো সুন্দর আকর্ষণীয় মনমুগ্ধকর হেডলাইন প্রদান করিবে