কামরুল ইসলাম :
প্রশাসন ও সাধারণ: দায় নিয়ে দায়িত্বহীনতায় যত অপরাধ অপকর্মে জড়িত,মহাপ্রতারক-চাঁদাবাজ কথিত সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্না,এই কথিত সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বিভিন্ন থানার অফিসার ইনর্চাজ সহ অফিসারদের টার্গেট করে মাদক সিন্ডিকেটের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিউজ করে পরে অফিসার ও ওসি কে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। আরো জানা যায় সাবেক চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এবং বর্তমান টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জায়েদ নুর কে- সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাদাবী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় মনছুর আলম মুন্না গ্রেফতার ও হয়।
এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ইং, কক্সবাজারে সাংবাদিকের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় চট্টগ্রামের এ কে খান এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়, নানা অপকর্ম করতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করতো মুন্না। র্যাবের সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ এপ্রিল বিকাল ৪ টার সময় র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিতিত্তে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় সোনালী ব্যাংকের পাশের গলি থেকে গ্রেফতার হয়। মহাপ্রতারক মুন্না কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার দক্ষিণ বড়বিল এলাকার আবদুস সালামের ছেলে মনছুর আলম মুন্না (৩০)।
সে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব ঘোনার পাড়া সেলিম ড্রাইভারের বাড়ীতে ভাড়া থেকে সাংবাদিক সহ র্যাব এবং বিভিন্ন সংস্থার সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় ও মাদক ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, সবার কাছে তিনি পরিচিত সাংবাদিক হিসেবে। সবাই যেন বিশ্বাস করে এজন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিউজ কপি করে নিয়মিত ফেসবুকে পোষ্ট দেন! কখনো গলায় কার্ড ঝুলিয়ে ছবি তুলেছেন সাংবাদিক প্রমাণে! আবার সাধারণ মানুষের কাছে তিনি পরিচিত ক্ষমতাবান হিসেবে! কেউবা আবার চেনেন র্যাব পুলিশের সোর্স হিসেবেও! কিন্তু আসলে তিনি একজন মহাপ্রতারক চাঁদাবাজ।
মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেই তার এই বহুরূপী সাজ! এই প্রতারক মনছুর আলম মুন্না এর আগে কক্সবাজার সদর থানা কর্তৃক ১ম বার আটক ( ভুয়া সাংবাদিক ও চাঁদাবাজি মামলায়) র্যাব-১৫ কর্তৃক ২য় বার আটক (পর্ণোগ্রাফি মামলায়) র্যাব-১৫ কর্তৃক ৩য় বার আটক (চাঁদাবাজি মামলায়) ও চকরিয়া থানা কর্তৃক ৪র্থ বার আটক (চাঁদাবাজি মামলা) এছাড়া পাবলিক কর্তৃক গণধোলাই খেয়েছে বহুবার তার বিষয়ে সঠিক ভাবে আইনগত তদন্ত করলে আরো বহু অপরাধ বেরিয়ে আসবে তাই অন্তর্ভক্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও উপরস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই বিষয়ে প্রতিনিধি মুন্নার বক্তব্য নিতে গেলে মুন্না প্রতিনিধির সাথে অসোভনীয় আশ্রণ ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত।