প্রভাস চক্রবর্ত্তী, বোয়ালখালী:
বোয়ালখালী উপজেলায় একটি বিহারের শতবর্ষী বোধিবৃক্ষ ও বুদ্ধ মূর্তির চীবর কাপড়ে অগ্নিসংযোগ করে বুদ্ধ মূর্তির কপালে থাকা স্বর্ণের তিলক নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে মোঃ রহিম (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ভোরে বোয়ালখালী উপজেলার ৮ নং শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকায় কেন্দ্রীয় মহাবোধি বিহারে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন বোয়ালখালী উপজেলার ৮ নং শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নের সন্দীপাড়ার মোঃ রবিউল হকের পুত্র মোঃ রহিম (২৭)।
স্থানীয় বাসিন্দা তাপস বড়ুয়া জানান, ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেয়ে বিহারে গিয়ে দেখি বোধিবৃক্ষের কাপড় ও বুদ্ধ মূর্তির চীবর খুলে আলাদা করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বুদ্ধ মূর্তির কপালে থাকা স্বর্ণের তিলক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
বোয়ালখালী উপজেলার ৮ নং শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ হাসান বলেন, “আমরা রাতে প্রবারণা পূর্ণিমার অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমি ধারণা করছি, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।”
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, “ঘटनাস্থলে পুলিশ আছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
বোয়ালখালী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল জানান, স্থানীয় লোকজন ও নিকটস্থ বাজারের প্রহরীদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায়, মোঃ রহিম নামে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন স্থানীয় ব্যক্তিকে আনুমানিক রাত ৪টার দিকে নিকটস্থ বাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা ও পাগলামি করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর পেট্রোল টিম স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ হাসান চৌধুরী ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল হকের সহায়তায় তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মোঃ রহিম তার অপরাধের কথা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে সে তার এই অপকর্মের কোনো যুক্তিসংগত কারণ স্বীকার করেনি। বিষয়টি আরও সঠিকভাবে তদন্ত করে ও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আসামিকে বোয়ালখালী থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।