রূপগঞ্জে মামলার বাদিকে মধ্যরাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা, হুমকি

প্রতিবেদক- ব্যুরো চিফ মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী।

বাম পাশে রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী রুবেল, রাসেল ও শ্রাবণ। ডানে অগ্নি সংযোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি।

রূপগঞ্জে মামলা তুলে না নেওয়ায় মামলার আসামিরা মধ্যরাতে বাদীর বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এরপর মামলার বাদি ও পরিবারের সদস্যদের অব্যাহত হুমকির দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে আতংকে দিনাতিপাত করছে মামলার বাদি ও তার স্বজনরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমেনা বেগম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে রূপগঞ্জ থানা একটি অভিযোগ দেন। এরআগে রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার টাটকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনার তিন দিন পার হলেও রূপগঞ্জ থানায় কোনো মামলা নথিভুক্ত হয়নি। এরফলে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাদী ও তার স্বজনরা ফের হামলায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে শংকা প্রকাশ করছেন।

ভুক্তভোগী আমেনা বেগম জানান, গত কয়েক মাস আগে স্থানীয় সন্ত্রাসী রুবেল ভূইয়া, রাসেল ভূঁইয়া শ্রাবণ ওরফে কুত্তা শ্রাবণ এর আগে তাদেরকে মারধর ও বাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় তারা রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গত বেশ কিছুদিন ধরে মামলা তুলে নিতে রুবেল ভূঁইয়া, রাসেল ভূইয়া ও কুত্তা শ্রাবণ তাদের হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছিল। কিন্তু তারা মামলা তুলে নিতে রাজি হননি।
সোমবার রাত ১০ টার দিকে আমেনা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে আমেনা বেগমের দেবর নূর আলমের দুই মাসের ছেলে আদিল কান্না করলে বাড়ির সবার ঘুম ভেঙ্গে যায়।

এ সময় নূর আলম বাইরে বেরিয়ে এসে দেখতে পান তাদের বাড়িতে রুবেল ভূঁইয়ার হুকুমে রাসেল ভূঁইয়ার কুত্তা শ্রাবণ, শাহেদ, সিয়াম, মেহেদী, রাজু, আয়নাল, নীরব তৌহিদুলসহ গত ৪/৫ জন মিলে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আগুন দিতে দেখে নূর আলমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে ঘরের কিছু অংশ পুড়ে যায়।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে না নিলে তাদের এভাবেই আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে চলে যায়। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে তারা রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই জয়নাল আবেদিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সমান্য কিছু পুড়া জিনিষপত্র দেখেছি। তদন্ত চলমাল রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *