স্টাফ রিপোর্টার:
ডি-৮ ওএমএস-এর ডিলার মোঃ আজিম ও ডিলার শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, আজ ডিলার মোঃ আজিমের ট্রাক সেল ছিল মালিবাগ বাজার সংলগ্ন বিশ্ব রোডে। ট্রাক সেলের শেষ সময় বিকেল ৫টায় হলেও দুপুর ১২টার মধ্যে তিনি বিক্রির জন্য আনা ওএমএস-এর চাল ও আটার ট্রাকসহ উধাও হয়ে গেছেন। অন্যদিকে, ডিলার শফিউল্লাহর ট্রাক সেল ছিল খিলগাঁওর মোস্তমাঝি মোড়ে। তারও ট্রাক সেলের শেষ সময় ছিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত, কিন্তু দুপুর ১টার বাজতেই সেও প্রায় ট্রাকভর্তি ওএমএস-এর চাল ও আটার ট্রাকটি নিয়ে উধাও হয়ে যান। সাধারণ ক্রেতারা ট্রাকে বসে থাকা খাদ্যপণ্য কেনার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, কিন্তু বিক্রির সময় শেষ হওয়ার আগেই ডিলার মোঃ আজিম ও ডিলার শফিউল্লাহর ওএমএস-এর চাল ও আটাভর্তি ট্রাকটি নিয়ে চলে যান। অভিযোগ রয়েছে, দেশের গরীব ও অসহায় মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল ও আটা তাদের কাছে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি না করে পাইকারি বাজারে বেশি মূল্যে বিক্রি করছে সেসব চুরিকৃত চাল ও আটা।
ডিলার আজিমের প্রতিনিধি রুবেল দাবি করেছেন, “অল্প কিছু মাল অবিক্রিত ছিল, তাই আমরা তা নিয়ে চলে গিয়েছি।” তবে সাধারণ মানুষ ও ক্রেতাদের মধ্যে এ ঘটনার ফলে ব্যাপক ক্ষোভ এবং আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ডিলারের প্রতিনিধিরা আরও বলেন, “এআরও হুমায়ুন কবিরকে প্রতি সেলে ৩০০০ টাকা, তদারককারী কর্মকর্তাকে প্রতি সেলে ২০০০ টাকা করে দিতে হয়, তার সাথে রয়েছে আরও নানান খরচ। আমরা যদি এসব চাল-আটা চুরি করে বাজারে না বিক্রি করি, তাহলে আমরা চলবো কিভাবে।”
এ বিষয়ে তদারককারী কর্মকর্তা অপূর্ব রায় বলেন, “গাড়ি সম্ভবত তার সেলের জায়গাতেই রয়েছে। আপনি সেখানে যোগাযোগ করুন।” তবে এ ধরনের উদাসীনতা এবং অস্বচ্ছ পরিচালনা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে—ডি-৮-এর চাল ও আটা বিক্রির নিয়মিত তদারকি কি যথাযথভাবে হচ্ছে না?
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যদি এই ধরনের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তা সরাসরি সাধারণ ক্রেতাদের স্বাভাবিক খাদ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। বিশেষ করে কম দামের সরকারি চাল ও আটা বাজারে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা জনস্বার্থ বিপর্যস্ত করছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা দাবি করছেন, ডিলারদের বিক্রির সময়সূচি এবং সরবরাহ প্রক্রিয়ার উপর কড়া নজরদারি আনা না হলে অনিয়ম ও দামের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং ডি-৮ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করা হচ্ছে—জনগণের স্বার্থ রক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করা হোক।