স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, সচেতনতা এবং টিকাদানের মাধ্যমে টাইফয়েড রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
নূরজাহান বেগম বলেন, “দেশে এখনও শিশুদের মধ্যে টাইফয়েডজনিত মৃত্যু হচ্ছে—এটি আমাদের জন্য লজ্জার। আমরা ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করেছি, এবার টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হব। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের প্রতিরোধমূলক টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে।”
তিনি আরও বলেন, “টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা সচেতনতা ও টিকাদানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দিতে পারি, দেশে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হবে।”
সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দীর্ঘদিন ধরে টাইফয়েড একটি নীরব বিপদ হিসেবে থেকে গেছে, বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য। এবার সরকারের উদ্যোগ সেই দুর্বল জায়গায় বড় পরিবর্তন আনবে।”
একই সময়ে রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এবং রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এই এক মাসব্যাপী কার্যক্রমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে এক ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন বা জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে পারবে।