টাঙ্গাইলে সাড়ে ৩ বছর পর রফিকুল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই, গ্রেপ্তার ১

উজ্জ্বল মিয়া:

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার চাঞ্চল্যকর রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইল এবং ভগ্নিপতি মকবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন তালুকদার এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ সময় তিনি জানান, রোববার (১২ অক্টোবর) গভীর রাতে ধনবাড়ী উপজেলার নাথেরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি মকবুল (৫৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে সে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং অন্যান্য আসামিদের নাম উল্লেখ করে ১৬৪ ধারা অনুযায়ী দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ধনবাড়ী উপজেলার নাথেরপাড়া গ্রামের ঝোপের পাশে রফিকুল ইসলামের (৪২) মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের মা ছাহেরা বেওয়া বাদী হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি ধনবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শুরু হলেও মূল রহস্য উদঘাটিত না হওয়ায় ২৫ জুলাই ২০২২ তারিখে মামলাটি পিবিআই টাঙ্গাইলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পিবিআই টিমের তদন্তে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম উশৃঙ্খল প্রকৃতির ছিলেন এবং চুরি-চামারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া মামার বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে তার মামা ও মামাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তার সাথেও জমি ও ঘর ভাঙার কারণে মকবুল ও হাফিজুরের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। এসব বিরোধের প্রেক্ষিতে মকবুল, হাফিজুর, রেহান, জলিল ও সেকান্দার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘটনার দিন রফিকুলকে তার মামাতো ভাই আলম মাদক সেবনের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। লুকিয়ে থাকা আসামিরা বেঁশর লাঠি ও চা পাতি দিয়ে রফিকুলকে মারপিট করে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে মরদেহ স্থানীয় জমিতে ফেলে চলে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *