জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাতীয় পার্টি নেতাদের আলোচনা

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক: 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত মাসরুর মাওলাও উপস্থিত ছিলেন।

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডেপুটি হেড অফ মিশন আঞ্জা কার্স্টেন এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তা শার্নিলা কবিরও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জাতীয় পার্টির নেতারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতি, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আসন্ন নির্বাচন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের গুরুত্ব

জাতীয় পার্টির নেতারা জোর দিয়ে বলেন, দেশের পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়া জরুরি। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ও নজরদারির ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সকল পক্ষের জন্য বিশ্বাসযোগ্য হয়।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত মাসরুর মাওলা সাংবাদিকদের জানান, “আজ জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।”

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও স্মৃতিচারণ

সাক্ষাৎকালে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৮৯ সালে জার্মানিতে রাষ্ট্রপতি রিচার্ড ভন ওয়েইমারের সঙ্গে তার সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়াও তিনি জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তার প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচয় করান।

মাওলা বলেন, “সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলাপচারিতা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করা।”

জাতীয় পার্টির নেতারা আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের কূটনৈতিক বৈঠকগুলো দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রাখতে সক্ষম হবে।

সূত্র: জাতীয় পার্টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি, জার্মান দূতাবাস, ঢাকা।