লাভলু:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে মাঠে নেমেছেন জননেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মাহমুদ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ ও পরীক্ষিত সংগঠক হিসেবে স্থানীয় জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। ফলে দিন দিন তাঁর জনপ্রিয়তা তীব্র গতিতে বাড়ছে।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সফল সহ-সভাপতি, কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও আহ্বায়ক। বারবার নির্বাচিত সাবেক সফল ইউপি চেয়ারম্যান, বারবার নির্বাচিত সাবেক সফল বিআরডিবির চেয়ারম্যান। বারবার কারা নির্যাতিত। তৃণমূল থেকে গণমানুষের ভালোবাসা নিয়ে উঠে আসা কালিহাতীর একমাত্র জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতা।
নির্বাচন সামনে রেখে এখন টাঙ্গাইল-৪ আসনের জনপদজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। ব্যানার–পোস্টার, লিফলেট ও গণসংযোগে সরব হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লা। স্থানীয় সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে তরুণ-যুবক—সব শ্রেণিপেশার মানুষ ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থেকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে শুকুর মাহমুদ স্থানীয়ভাবে একজন জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি স্বাধীনতার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুকুর মাহমুদের নেতৃত্বে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুভেচ্ছা জানানো ও নীতি-আদর্শ তুলে ধরা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন আরও বাড়ছে।
এক পথসভায় শুকুর মাহমুদ বলেন, “এই দেশ স্বাধীন হয়েছে জনগণের ত্যাগে—কোনো একক ব্যক্তির দয়ার দান নয়। আজ জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে টাঙ্গাইল-৪ আসনের মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে এই আন্দোলনকে বিজয়ের পথে নিয়ে যাবে। আমি জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই, ক্ষমতার মালিক হয়ে নয়।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন এই অঞ্চলে উন্নয়নের যে ঘাটতি, জনগণের মৌলিক অধিকার যে ভাবে উপেক্ষিত—এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অবকাঠামো ও কর্মসংস্থানের উন্নয়নে কাজ করব। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমার অঙ্গীকার।”
এদিকে স্থানীয় সাধারণ জনগণও শুকুর মাহমুদের পক্ষে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলছেন, এলাকার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক ন্যায়ের পক্ষে এমন একজন সৎ ও জনবান্ধব নেতার প্রয়োজন ছিল অনেক দিন ধরে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের একটি বড় অংশ ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে প্রতিদিন গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নিচ্ছেন শুকুর মাহমুদ। এতে যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দলীয় নেতারা মনে করছেন, তরুণ সমাজ, কৃষক, শ্রমজীবী জনগোষ্ঠী এবং স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সাধারণ মানুষ এখন পরিবর্তনের প্রত্যাশায় ধানের শীষের পক্ষে জেগে উঠেছে। আর এ কারণে শুকুর মাহমুদের প্রার্থিতা টাঙ্গাইল-৪ আসনে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ধারা তৈরি করেছে।
তাঁর পক্ষে এভাবে জনসমর্থন বাড়তে থাকলে নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের জয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভোটাররা।