কদম রসুল সেতুর নির্মাণ কাজের নকশা পরিবর্তন সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বন্দরে মানববন্ধন

মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী, ব্যুরো চিফ:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের প্রকল্প কদম রসুল সেতুর নকশা পরিবর্তনের নামে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ‘বন্দর উন্নয়ন ফোরাম’-এর আয়োজনে একরামপুর সিএসডি গেট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বন্দর উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক হাফেজ মোহাম্মদ কবির হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য-সচিব আব্দুল লতিফ রানা।

মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন—
আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তা বেগম, বন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা জি.এম. মাসুদ, ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ রবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব সাব্বির আহমেদ সেন্টু, এডভোকেট শরিফুল ইসলাম শিপলু, কাজী সাঈদ ও আশিফুজ্জামান দুর্লভ, নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু, বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ জাহিদ, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, কদম রসুল কলেজের সদস্য সোহেল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান জসিম।

পরে মানববন্ধনে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

বক্তারা বলেন, কদম রসুল সেতুর নির্মাণ বন্দরবাসীর প্রাণের দাবি। এ সেতু হলে বন্দরের সঙ্গে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা হবে। এতে এলাকার অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানার কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

বক্তাদের বক্তব্য—
“অব্যাহত উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে কোনো মহল যদি রাজনৈতিক বা ব্যক্তি স্বার্থে ষড়যন্ত্র করে, তবে বন্দরবাসী তা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে আমরা রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামবো।”

তারা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ শিল্পনগরী হিসেবে প্রতিদিন হাজারো শ্রমিক ও মানুষের যাতায়াত—একটি আধুনিক সেতু দুর্ঘটনা, সময় অপচয় কমাবে এবং উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি—
কদম রসুল সেতু প্রকল্পের সকল অনিশ্চয়তা দ্রুত দূর করে কার্যক্রম শুরু করতে হবে, যাতে বন্দরবাসীর বহু বছরের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *