একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন তহসিলদার সলিম উল্লাহ সীমাহীন দূর্নীতি, হয়রানি সেবাপ্রাপ্তিরা

আব্দুল গফুর কক্সবাজার

দীর্ঘদিন ধরে একই দপ্তর বা শাখায় রয়েছে কক্সবাজার উখিয়া ভূমি অফিসের তহশিলদার সলিম উল্লাহ,তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণসহ রয়েছে নানান দুর্নীতি অনিয়ম।রয়েছে অসদাচরণের ব্যাপক অভিযোগ ও। সম্প্রতি এসব অভিযোগের প্রতিবাদ করায় ওই কর্মকর্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শিকার হয়েছেন উখিয়া ভুমি অফিসের আসা ভুমি সেবাপ্রাপ্তি একজন ভুক্তভোগী।সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা অনেক।

অভিযোগে জানা যায়, ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই সলিম উল্লাহ’ সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এখানে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে ঘুস দেওয়ার পরও কাজ হয় না। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন তিনি । নামজারি, খারিজসহ অন্যান্য কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঘুস-দুর্নীতির মহোৎসব প্রকাশ্যেই চলছে উখিয়া ভূমি অফিসে। কেউ নামজারি করতে চাইলে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়েই করতে হবে। নইলে জমির কাগজপত্র সঠিক থাকলেও পাওয়া যায়না নামজারি বা মিউটেশন।আর কাগজপত্রে ক্র“টি থাকলেতো কথায় নেই তিনি থেকে পাঁচগুণ টাকা আদায় করে ছাড়েন নাছোড় বান্দা সলিম উল্লাহ। সামান্য ভুল থাকলেও জমির মালিকদের কাছ থেকে নিজে এবং দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।পরিস্থিতির শিকার হয়ে ঘুস দিতে মানতে বা বাধ্য হন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন ,তার দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় নামজারি সব কাগজ থাকা সত্ত্বেও আবেদনটি বাতিল করে দেন তহশিলদার সলিম উল্লাহ তা ধার্য বেঁধে দেওয়া টাকা দিলে নামজারি হয় অনায়াসে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ভূমি মালিক বলেন, তার দাবিকৃত ঘুষের অর্থ দিতে অস্বীকার করলে নানা টালবাহানা করে জমির মালিকদের হয়রানি করেন এই তহশিলদার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায় সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক হলেও জমির পর্চা (খসড়া) তোলাসহ সব কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিকভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে উখিয়া ভূমি অফিসে। নিরীহ ভুক্তভোগীরা বলছেন, এই ভূমি কর্মকর্তার দুর্নীতি রোধে দুদকের হস্তক্ষেপ জরুরি।অভিযোগের বিষয়ে জানতে তহসিলদার সলিম উল্লাহ মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *