শহিদুলের সততায় এগিয়ে যাচ্ছে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মিথ্যাচারে দানব বানানোর চেষ্টা

এইচ এম হাকিম :

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম,দুর্নীতির অভিযোগে যাকে কিছু মহল ‘দানব’ বানানোর চেষ্টা করছে, বাস্তবে তিনি দপ্তরের সবচেয়ে সৎ, কঠোর পরিশ্রমী এবং নিয়মকানুনে আপসহীন একজন কর্মকর্তা হিসেবে বেশ পরিচিত। কয়েকজন ঠিকাদার এ প্রকৌশলীর কাছ থেকে বারতি সুবিধা না পেয়ে একজন সউ কর্মকর্তাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে দপ্তর এবং সাধারণ মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্য করার চেষ্টা অবয়াহত রেখেছে একটি কুচক্রী মহল।

বরিশাল দপ্তরে বহু বছর ধরে কমিশন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ছিল, সেখানে গিয়ে শহিদুল লুটেরা ঠিকাদার সিন্ডিকেটের গলায় লাগাম টেনেছেন,আর তাই আজ তিনি তাদের টার্গেট।

হুমকির অভিযোগ-যা পুরোপুরি সাজানো নাটক

৩০ নভেম্বরের যে জিডিকে কেন্দ্র করে শহিদুলকে হঠাৎ মহাসুর’ বানানোর চেষ্টা চলছে, সেটি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে,এটি ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যর্থ হওয়া,চাপ সৃষ্টি করতে না পারা,এবং কাজ হাতছাড়া হওয়ার হতাশায় ফারুক নামের ঠিকাদারের বানানো গল্প।

যাদের সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে,তাদের সঙ্গে শহিদুলের কোনো প্রশাসনিক, ব্যক্তিগত বা পেশাগত যোগাযোগ নেই।শহিদুল ওই দিন ঢাকায় ছিলেন,যা অফিসিয়ালি প্রমাণিত।ফোনকলের যে অডিও প্রচার করা হচ্ছে, তাতে শহিদুলের নাম নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে চাপ তৈরি করা হয়েছে।সব মিলিয়ে এটি ঠিকাদারদের নিজস্ব কোন্দল,শহিদুলকে জড়িয়ে ব্ল্যাকমেইল করার কৌশল।

ফারুক কেন মিথ্যা অভিযোগ তুললেন?

কারণ পরিষ্কার,তিনি টেন্ডারের নিয়ম মানেননি, ফাইলের বৈধ ডকুমেন্ট ছিল না, এবং শহিদুল নিয়ম বহির্ভূত কোনো সুবিধা দিতে রাজি হননি।অর্থাৎ,শহিদুল আইন মানায় অপরাধী,আর আইন ভাঙতে না পেরে ঠিকাদাররা ভুক্তভোগী,এটাই এখনকার হাস্যকর বাস্তবতা।

শিক্ষা প্রকৌশলে শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ,যা বাস্তবে সংস্কারবিরোধীদের’ আর্তনাদ

২৬ কোটি টাকার প্রকল্প বিক্রি?

সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশলে প্রকল্প অনুমোদন বা বণ্টনের ক্ষমতা এককভাবে কারও নেই,এটি বহিস্তরীয় যাচাই ব্যবস্থার অধীনে।যারা আগে ডাইনিং টেবিলে টেন্ডার বেচাকেনা করত,শহিদুল এসে সেই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।

কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ?

বরিশালের দপ্তরে প্রথমবার ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু হয় শহিদুলের সময়।এতে কোন প্রকল্প কতদূর এগিয়েছে,কত বিল বাকি,সব খোলা নথিতে।এতে যারা আগে টেবিলের নিচে টাকা নিত,তারা আজ সবচেয়ে বেশি চিৎকার করছে।

অপারেটর রাশেদের পালানো?

রাশেদ নিজেই বেসরকারি ঠিকাদারদের সঙ্গে কমিশন-আদায়ের খেলায় যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলার সময়ই তিনি পালিয়ে যান।এখন তার দায়ও শহিদুলের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে!

আশিককে ‘দুর্নীতির জুটি’ বানানো?

আশিক দপ্তরের দীর্ঘদিনের দক্ষ উপ-সহকারী প্রকৌশলী।তিনি নিয়মমাফিক কাজ করায় আগের সিন্ডিকেটসহ কয়েকজন ঠিকাদারের চোখে তিনি শত্রু। তাই শহিদুল-আশিক জুটিকে মাফিয়া কার্যালয় বলাটা,যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে তাদের কান্না ছাড়া কিছুই নয়।

দপ্তরে ‘রামরাজত্ব’ নয়-নিয়মের শাসন

সূত্র বলছে,শহিদুল দায়িত্ব নেওয়ার পর..বন্ধ হয়েছে অনিয়মিত বিল ছাড়,বন্ধ হয়েছে ফাইল আটকে কমিশন আদায়,বন্ধ হয়েছে সিন্ডিকেট ঠিকাদারদের দৌরাত্ম্য,শুরু হয়েছে প্রকল্প সময়মতো শেষ করার সংস্কৃতি!

যারা আগে অবাধে লুটপাট করত,তারাই এখন ভয় হুমকি’‘অপমান এসব শব্দ ব্যবহার করে শহিদুলকে দোষী বানাতে চাইছে।

 

দুদক তদন্ত হলে কার মুখোশ খুলে যাবে?

দুদক তদন্তে শহিদুল নয়,ঠিকাদার সিন্ডিকেট ও তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের চোর ভাগাড় বেরিয়ে আসবে।শহিদুল নিজেই তদন্ত চান,কারণ তার লুকানোর কিছু নেই।কিন্তু তদন্তে যেতে ভয় পাচ্ছে সেই মহল, যাদের কয়েক কোটি টাকার অবৈধ আয়ের পথ তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন।

শহিদুল-দুর্নীতিবাজ নয়,দুর্নীতিবাজদের মাথাব্যথা
যে কর্মকর্তা,নিয়ম ভেঙে কাউকে সুবিধা দেন না,টেন্ডার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছেন, ঘুষ-কমিশন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন,শিক্ষা প্রকৌশলে প্রথমবার জবাবদিহিতা এনেছেন।
তাকে মিথ্যা অভিযোগে ‘দানব’ বানানো হচ্ছে,কারণ তিনি দুর্নীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *