মোঃ আরাফাত হোসেন:
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় আসন্ন “ক্রীড়া কম্পাস” প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্মেলনে ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক এবং এই প্রকল্পের পরিচালক মোঃ কিতাব আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলমের স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের তথ্য একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্সের “গ্র্যান্ট ফর গ্রোথ” প্রকল্পের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ সরকারের “তারুণ্যের উৎসব”-এর সঙ্গে সংগতি রেখে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। দেশের ৬৪টি স্কুলের ৩টি গ্রুপে ২৫০০ জন শিশু-কিশোর এই কর্মসূচির আওতায় আসবে। “সঠিক পথে ক্রীড়া, শক্তিশালী আগামী” স্লোগান সামনে রেখে পরিচালিত এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন ৯৬ জন শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক (পি.ই. টিচার) এবং ৩০ জন স্থানীয় প্রশিক্ষকও।
স্কুলের শিক্ষক ছাড়াও অভিভাবক, স্টেক হোল্ডার, ভলান্টিয়ার, স্বাস্থ্য সচেতন প্রবীণ ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়, সাংবাদিক সকলকে ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হবে। কিডস অ্যাথলেটিক্সের ৩টি গ্রুপ হলো: ৪-৭ বছর, ৮-১১ বছর ও ১২-১৪ বছর। ফেডারেশন জানিয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় পর্যায়ের ভালো খেলোয়াড় তৈরি করা মূল লক্ষ্য নয়, বরং সকল স্তরের মানুষকে ক্রীড়া সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের ৮১ শতাংশ শিশু প্রতিদিন এক ঘণ্টা খেলার সুযোগ পায় না, তাই প্রতিটি শিশুর শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। “ক্রীড়া কম্পাস” নামে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রাথমিক পর্যায়ে ৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে ৪টি বিভাগের ৫টি প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, যার প্রথম ধাপে খুলনা বিভাগের যশোর (১০-১৬ ডিসেম্বর’২৫), সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ সদর (২০-২৪ ডিসেম্বর’২৫) ও জামালগঞ্জ (২৭-৩১ ডিসেম্বর’২৫), চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি (০৫-০৯ জানুয়ারি’২৬) এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ঝিনাইগাতী (২১-২৫ জানুয়ারি’২৬) উপজেলায় প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।