সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়িছাড়া পরিবারসহ প্রধান শিক্ষক

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক: 

 

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে পরিবারসহ বাড়ি ছাড়া হয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. মুজিরুল হক ভূঞা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের সুব্রত লাল ভট্টাচার্য, সাইদুর রহমান, রতন মিয়া, রুবেল, জাহাঙ্গীর, ইদ্রিছ মিয়া, লাবিব মিয়া ও ওয়াসিম।

ভুক্তভোগী বাদী মো. মুজিরুল হক ভূঞা রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের বাসিন্দা ও তাড়াইল উপজেলার পুরুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে ভুক্তভোগী পরিবারসহ অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে স্কুলের দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট মো. মুজিরুল হক ভূঞা নিজ বাড়ি থেকে পুরুড়া হাইস্কুলে যাওয়ার পথে আমতলা নামক স্থানে সন্ত্রাসীরা হামলা করে হাড় ভেঙ্গে দিয়ে তার ব্যাগে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাদী বাড়ি আসার খবরে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রাণনাশের আশঙ্কায় পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

শনিবার ভুক্তভোগী মুজিরুল হক ভূঞা বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার হাড় ভেঙ্গে গেছে। ১০ দিন কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় এখনও চিকিৎসা চলমান আছে। সন্ত্রাসীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে, বাড়িতে গেলেই খুন করবে। তাই পরিবার নিয়ে পুরুড়া নামক স্থানে এক বাসায় অবস্থান করছি। ঘটনা তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে শনিবার কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলা হয়েছে। উপপরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) মো. শফিউল আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *