পিতা ছিলো আওয়ামিলীগের সম্পাদক পুত্র পেয়েছিলো আলাদীনের চেরাগ

বিশেষ প্রতিনিধি : 

সংবাদের প্রথমেই যে পিতার নাম উলেখ করা হয়েছে তার নাম আব্দুল হামিদ। আব্দুল হামিদ ছিলো ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার পৌর আওয়ামিলীগের সেক্রেটারি ।  সেই সুবাদে আব্দুল হামিদের পুত্র আরিফুর রহমান পিতা হামিদের নাম ভাঙ্গিয়ে ময়মনসিংহের উন্মত মানের খাদ্যগুদাম গুলোতে ওসি এলএসডির পোস্টিং নিয়ে দূর্ণীতি আর সরকারি অর্থ আত্নসাতের মহাজন সেজে বসেছিলো। বাবাকে কেজির দরে বিক্রি করে ময়মনসিংহ খাদ্য গুদামগুলোতে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।

জানাগেছে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ওসি এলএসডি  আরিফুর রহমান ফ্রি—স্টাইল চাকরি করেছ। ন্যূণতম একটা উপজেলা বা জেলায় ওসিএলএসডির চাকরি করেও আরিফুর রহমানের নিয়ন্ত্রনে থাকতো একাধিক খাদ্য গুদাম। কারণ একটাই  তার পিতা আব্দুল হামিদ ছিলো আওয়ামিলীগ নেতা। সেক্রেটারি।  ফলে সরকারি চাকরি করে এবং ওসি এলএসডি হয়েও আরিফুর চলতো প্রচন্ড দাপটে। তার মুখে সবসময়ই থাকতো গালিগালাজ বর অশোভমীয় আচার আচরণ।
শোনাযায় তার গালিগালাজের ভয়ে স্হানীয় এলাকার সাধারণ মানুষজন ভয়ে তটস্হ থাকতো। কারণ একটাই পিতা পুত্র আওয়ামিলীগের লোক।

অভিযোগের সুরে স্হানীয়বাসিরা বলেন  পিতা ত্রিশাল পৌর আওয়ামিলীগের সম্পাদক সেই সুবাদে বর্তমানে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া খাদ্য গুদামের ওসি এলএসডি আরিফুর রহমান তার দূর্ণীতি আর সরকারের অর্থ আত্নসাতের   লাগাম ধরে রাখতে পারেনি।।

জারিয়াতেও পোস্টিং নিয়েও ওসি এলএসডি  আরিফুর রহমান একই কায়দায় মীলারদের সাথে একটা দফা—রফা করে টণ প্রতি ১ হাজার থেকে  ২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাউল গুদাম ভর্তি করেছেন যে চাউল গুলোর প্রতিটিতেই বিদ্যমান পঁচা আর খাওয়ার অগ্রহণযোগ্য । এভাবে ভালো ভালো জায়গায় পোস্টিং নিয়ে আগের আওয়ামিলীগের মতো দুস্কর্ম করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। জানাগেছে গত সতর বছর আওয়ামীলীগের শাসনামলে  কোন জবাবদিহি ছিলোনা। বান্ডিল বান্ডিল টাকা সূর্য়োদোয়ের সাথে সাথই আরিফুর রহমানের কাছে এসে পড়তো বলে চমকপ্রদ উদাহরণ দিয়েছেন স্হানীয়বাসি । তবে আওয়ামীলীগের তেজিয়ান হাঁকডাক নাকি কমেনি এই দূর্ণীতিবাজ অর্থ লুটপাটকারি ওসি এলএসডি আরিফুর রহমানের। জারিয়াতে বসেও সাংবাদিকদের সাথে আওয়ামিলীগের মতো আচরণ অব্যাহত রেখেছে এবং চিৎকার করে বলে থাকে আওয়ামীীলীগ শেষ হয়ে যায়নি। আবার ফিরে আসবে।

গণঅভ্যূত্থানে ছাত্র—জনতার রক্রের দাগ এখনও না শুকাতেই আরিফুর রহমানের এই আস্ফালন সরকারের একজন বেতনভোগী কর্মচারীর সাথে কতটুকু সামন্জস্যপূর্ণ এই বিষয়টি নেত্রকোনা এবং ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা বাহিনীর হাতেই ন্যস্ত করা যেতে পারে।
কারণ রিপোর্ট তারা দিবেন । তদন্তও তারা করবেন। বিচার করবেন বাংলাদেশ খাদ্য বিভাগ।  কারণ জনসাধারণ এধরনের অসভ্য সরকারি চাকরিজীবী আরিফুর রহমানকে জারিয়াতে দেখতে চায়না যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে দূর্ণীতি আর মুখে রয়েছে অসভ্যতা।
সাধারণ জনতা জারিয়ার ওসি এলএসডি আরিফুর রহমানের কঠিন বিভাগীয় তদন্ত কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *