মোঃ জাহাঙ্গীর আলম :
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুষ-দুর্নীতির ‘রসের হাঁড়িতে, পরিণত হয়েছে। ০৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার। আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিট গালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে ভুক্তভোগী সেবাপ্রার্থীরা ঘুষ দূর্নীতির অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।
কিন্তু অফিসে নেই ভূমি সহকারী (কর্মকর্তা) ঝুলছে দরজায় তালা।
গোমড়া মুখ নিয়ে অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষেদ ঝাড়ছিলেন কয়রী গ্রাম থেকে আসা ভুক্তভোগী আফছার আলী বিশ্বাস (৪৮)।
তিনি বলেন আমাদের নিজের ১১০ শতাংশ জমি (খারিজ) করতে এক খারিজে ৮হাজার আরেক খারিজে ১৪হাজার টাকা ভূমি সহকারী (কর্মকর্তা) ঘুষ চেয়েছে।
ঘুষ না দেয়ায় কাজ হচ্ছে না। আওয়াজ তুলে ঘুষ দূর্নীতি কথা চালা ইউনিয়নের শাফার গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের আরেক ভুক্তভোগী মোঃ আক্কাছ, পিতা আকালিম হোসেন বলেন আমি দালাল নিতাই মহুরী দারা ১০ হাজার টাকা খারিজ বাবদ চুক্তি করছি।গালা ইউনিয়নের গালা গ্রামের হযরত বলেন আমি নামজারি ও খারিজ বাবদ ১০ হাজার টাকা অফিস সহায়কের সাথে চুক্তি করছি। তবে ফিসফিস করে ঘুষও দূর্নীতির বিষয়ে ধিক্কার দিচ্ছে অনান্য সেবা প্রত্যাশীরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা যদি সাংবাদিকের কাছে সত্য বলে দেই তাহলে পরবর্তীতে আমাদের বিভিন্ন ভাবে নায়েব অফিসে হয়রানির শিকার হবো, সে জন্য আমরা মুখ খুলতে পারি না। গালা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অফিসের পিয়ন, পাতানো কিছু দালাল চক্র ঘুষ-দুর্নীতির ‘রসের হাঁড়িতে’ মজে অনিয়মকে রূপ দিয়েছেন নিয়মে! আর এতে করে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লোকজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কোন ফল পাবে না তাদের ধারনা। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনও দুর্নীতির দুষ্টচক্রের পক্ষেই উল্টো সাফাই গান, এমন নেতিবাচক নজিরও তাদের ফেলে দিয়েছে প্রশ্নের মুখে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না। নামজারি (নাম খারিজ), ও দাখিলার জন্য তাকে আলাদা টাকা দিতে হয়। কখনো টাকা দিলেও জুটে না নামজারি।
খাজনার দাখিলার জন্য (ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ) সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়েও অতিরিক্ত টাকা আদায় করলেও আবার রশিদ দেয়া হয় সরকারি হিসাবেই। এসবের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। দৌরাত্ম বেড়েছে দালাল সিন্ডিকেটেরও।
গালা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী (কর্মকর্তা) মোহাম্মদ আলী বলেন ভুক্তভোগীরা মিথ্যা বলছে।
ভুক্তভোগীরা আরো অভিযোগ করেন, নায়েবের ঘুষ বাণিজ্য’ অনিয়ম’ দুর্নীতি ও নিজের নিয়োজিত দালাল-কর্মচারী সিন্ডিকেটের উৎপাতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। গোটা ভূমি অফিস হয়ে উঠেছে অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া। এক্ষেত্রে ভয়ভীতিরও বালাই নেই।
ইচ্ছামতো অফিসে আসা-যাওয়া করেন তিনি। হরিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার-ভূমি(এসিল্যান্ড) মোঃ শাহরিয়ার আশরাফ বলেন আপনি অভিযোগ কারীকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেন হিয়ারিং করে ব্যবস্হা নিবো।