কলুরঘাট সেতুর টোল আদায়ের ৯টি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ মাওয়া এন্টারপ্রাইজ

প্রভাস চক্রবর্ত্তী :

অবশেষে টোল আদায়ের জন্য টেন্ডার আহবান করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) এর দপ্তর থেকে জানা গেছে, টেন্ডারে মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছে। এরমধ্যে থেকে গতকাল সোমবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর দপ্তরে যাচাই–বাছাই শেষে মাওয়া এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলরত সকল যানবাহন থেকে টোল আদায়ের জন্য কার্যাদেশ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) মনিরুজ্জামান বলেন, সংস্কারকৃত কালুরঘাট সেতু থেকে টোল আদায়ের টেন্ডারে মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।

এরমধ্যে মাওয়া এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হয়েছে। এক বছরের জন্য সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলরত যানবাহন থেকে টোল আদায়ের জন্য সরকারি ডাকমূল্য ছিল ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ৫৩ হাজার টাকা। টেন্ডারে মাওয়া এন্টারপ্রাইজ ৫ কোটি ২০ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হয়েছে।

এই ব্যাপারে মাওয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলম ববি স্বাধীন সংবাদকে বলেন, টেন্ডারে সরকারি ডাকমূল্য ছিল ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৪২টাকা। টেন্ডারে আমাদের মাওয়া গ্রুপ ৫ কোটি ২০ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ৫ কোটি ২০ লাখ টাকার সাথে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা ভ্যাট ও আয়কর আছে। মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা প্রদান করতে হবে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে। আমরা সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হয়েছি। এখন কার্যাদেশ দেওয়ার পর টোল আদায়ের কার্যক্রম শুরু হবে।

সেতুর পাশাপাশি ফেরিও চালু থাকবে বলে জানান এই ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী। তিনি বলেন, ভারী ট্রাক–কাভার্ড ভ্যান এবং বড় বাস গুলো ফেরি দিয়ে চলাচল করবে।

দীর্ঘ ১৪ মাস সংস্কার কাজ শেষে নতুন রূপ পেয়েছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। গত ২৭ অক্টোবর সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *