কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়, অনিয়ম ও ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নানারকম দুর্নীতি, প্রক্রিয়াগত জটিলতা এবং অনিয়মজনিত আচরণের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্ট অফিসে আবেদনকারী ব্যক্তিদের কিছু কাগজপত্র সম্পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই অবহেলিতভাবে ফেরত দেয়া হচ্ছে অথবা অতিরিক্ত ফি, ঘুষ দাবির ঘটনা ঘটছে। একাধিক আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন যে, নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করলেও কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছু লোক “সহজ সুবিধা” পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছেন।
এক আবেদনকারী বলেন,
“আমরা সরকারি নিয়ম মেনে সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু কাজটি সময়মতো হচ্ছে না। কেউ কেউ বলে, যদি ‘সুবিধা’ নিতে চাই, অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক।”
অন্য একজন প্রার্থী জানান,
“পাসপোর্ট অফিসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। কখনো কখনো অফিসের নির্দিষ্ট ঘণ্টার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হয় না। অনিয়ম ও ঘুষবাণিজ্যের কারণে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।”
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান,
“পাসপোর্ট অফিসের এই অনিয়ম ও দুর্নীতি দীর্ঘদিনের। অভিযোগ থাকলেও এখনও প্রশাসনিক পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে সাধারণ জনগণ নানা অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে।”
পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন,
“আমরা সব অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখছি। তবে অনিয়মের অভিযোগ সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চেষ্টা করছি আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুততার সঙ্গে পরিচালনা করার।”
সংশ্লিষ্টরা মনে করাচ্ছেন, সাধারণ জনগণ যাতে ঘুষবাণিজ্য বা অনিয়মের শিকার না হয়, তার জন্য কঠোর নজরদারি ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন।
সুশীল সমাজ ও নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে, কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে অন্যায় ও অনিয়ম বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া হোক।