স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা ও নিষ্ঠুর বর্বরতা বন্ধে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এটি একটি চলমান গণহত্যা। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সশস্ত্র সহিংসতা শুধু একটি নিরস্ত্র জাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং সমগ্র মানবতা ও আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি।”
গাজা পুনর্গঠনে আরব বিশ্বের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত। সেইসঙ্গে তিনি গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি জাতিসংঘ ও বিশ্বের সকল সদস্য রাষ্ট্রকে ফিলিস্তিন সংকটের টেকসই, শান্তিপূর্ণ সমাধানে কার্যকর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে এবং ‘টু-স্টেট সল্যুশন’-এর বাস্তবায়নের পথে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার লক্ষ্যে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ‘জাতিসংঘ হাই লেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে।