স্টাফ রিপোর্টার :
কক্সবাজারে আওয়ামীলীগ পরিবারের কট্টর আওয়ামীপন্থী হামিদুল হক জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঝিলংজা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছে। এতে এলাকায় মিশ্র্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । নেতা কর্মীদের মাঝেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম মুক্তারকুল ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা হামিদুল হক কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয় সম্পাদক নুরুল হকের পুত্র। হামিদুল হক বিগত স্বৈরাচার সরকারের দোসর কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুনের মামলার আসামী হক শন পরিবারের শাহীনুল হক মার্শালের ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন।
হামিদুল হকের আপন ভাই খোরশেদুল আলম কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। খোরশেদুল আলম বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের গণহারে মামলা দেওয়ার মূল হোতা এবং প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়েছিল। সরকার পতনের পর পুলিশ তাকে আটক করে হত্যা মামলায় চালান দিয়েছেন। হামিদুল হকের আপন ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দামের পি এস মইন উদ্দিন জনি কক্সবাজার কলেজে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ছাত্রীদের হামলায় সরাসরি জড়িত। হামিদুল হকের পুরো পরিবার আওয়ামীলীগ পরিবার হিসেবে এক নামে পরিচিত ।
তারা কখনো বিএনপি জামায়াতকে ভাল চোখে দেখেছে এমন নজির নেই। কট্টর আওয়ামীলীগপন্থি হামিদুল হক কথায় কথায় জামায়াত বিএনপিকে গালিগালাজ করত, এতেই শেষ নয় আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকার বহু মানুষকে নানাভাবে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শালের সহযোগী হামিদুল হক সরকার পতনের পরে জামাতে সহযোগী সংগঠন ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পদ ভাগিয়ে নেয়ার কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
বিগত স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী কট্টর আওয়ামীলীগার হামিদুল হক ও তার পরিবার সম্পর্কে কোন প্রকার যাচাই—বাছাই না করে জামায়াত ইসলামীর মত একটি আদর্শ সংগঠনে হঠাৎ অনুপ্রবেশ আবার দ্রুত পদ বাগিয়ে নেয়ায় বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা কর্মীরা বলেন ,“প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মীর আচার—আচরণ কখনো নোংরা হতে পারে না। হামিদুল হক খুবই নোংরা ভাষা ব্যবহার করে । হামিদুল হক ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করা ও তার ভাইদের মামলা থেকে রক্ষা করার জন্য মূলত শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্ব নিয়েছে।জামাতের আর্দশ হামিদুল হক ও তার পরিবারে মোটেও নেই পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগের বড় বড় দায়িত্বে থাকার পরও কিভাবে জামায়াতে পদ পেয়ে যায় ? এ প্রশ্ন সকলের।
জামায়াতের জেলার শীর্ষ নেতাদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তাকে দ্রুত অপসারণ করার দাবি জানান তৃনমূল নেতাকর্মীরা। অন্যতায় সংগঠনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এমনটি ধারণা করেছেন তারা।