মোশাররফ হোসেন জসিম পাঠান :
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের রোয়াইল মাদ্রাসার ছাত্রী কে ধর্ষণ ও বিষ পানে মৃত্যু থানায় মামলা আসামি পলাতক বাদী কে প্রাণনাশের হুমকী।সূত্রে জানা যায় গত প্রায় ৮ মাস ধরে রোয়াইল বাড়ী গ্রামের শাহাব উদ্দিন এর মেয়ে মোছাঃ সুমাইয়া আক্তার এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঘরে তুলে।একই ইউনিয়নের নিলাম্বর খিলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আরজু মিয়া ছেলে মোঃআশরাফুল হক পূর্ণ সাথে এই দুর্বলতার সুযোগে পূর্ণ মিয়া মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে।
এই বিষয়টি মেয়ের পরিবারবর্গ টের পেয়ে ছেলের পরিবারবর্গ কে অবগত করিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগদন্ড সৃষ্টি হয়।এই খবর ছেলেটি শুনে রাগান্বিত হয়ে তাঁর লোকজন নিয়ে মেয়েটিকে মারধর ও লাঞ্চিত করে এবং প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে,বিয়ে করবে না বলে সাপ অস্বীকার করে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৯/৬/২৫ ইং তারিখ রোজ রবিবার সকাল প্রায় ১০ টার দিকে মেয়েটি বিষ পান করে এই ঘটনাটি মেয়েটির পরিবারবর্গ টের পেয়ে দ্রুত কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানকার কর্মরত ডাঃ ছাত্রী মেয়েটির অবস্থা শোচনীয় দেখে দ্রুত গতিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেকর্ড করেন।
সেখানে দুইদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখানকার কর্মরত ডাঃ ঢাকা বাংলাদেশ মেডিকেলে রেপার্ট করেন এবং সরকারি এম্বুলেন্স এর মাধ্যমে ঢাকা যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। পরে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে দ্রুত ছুটে যান এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মৃতক ছাত্রীর লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।এই ঘটনায় মৃতক মাদ্রাসার ছাত্রীর বাবা মোঃ সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দ্বায়েল করেন প্রতিপক্ষ মোঃআশরাফুল হক পুণ (২০) কে আসামি করে। যাহার কেন্দুয়া থানার মামলা নং ৫ /১৭১ উল্লেখিত মামলার আসামি পলাতক রয়েছে।
এই সুযোগে আসামির পক্ষের লোকজন মামলার বাদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।এই নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মী ও মানবাধিকার কর্মীগণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরজমিনে গেলে গ্রাম ও এলাকাবাসীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি আর আর যাতে কোন নারী ধর্ষণের শিকার না হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদী সঙ্গে কথা বললে তিনি চিৎকার করে বলেন আমি বিচার চাই, প্রশাসনের সাহায্য চাই,জীবনে নিরাপত্তা চাই, অপরাধী কে গ্রেফতার চাই, তিনি আরো বলেন পলাতক আসামির আত্মীয়-স্বজন মৃতক সুমাইয়ার ধর্ষণ এর আলামত নষ্ট করার জন্য মেডিকেলে ব্যাপক পায়তারা সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপার এবং স্থানীয় প্রশাসন এর পদক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ ও এলাকাবাসী এলাকাবাসী যারা তারা হলেন নুরুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস, মোঃহাসু মিয়া, লিটন মিয়া, মোঃমুসলিম উদ্দিন, মাসুদ মিয়া, মোঃচন্দন মিয়া, সোহেল মিয়া, মোঃআবু কালাম, হাশেম মিয়া, মোঃসাবেদুল মিয়া, মোঃ আসাদুল মিয়া, মোঃ জিলাল মিয়া, মোঃ জালাল মিয়া, মোঃ ইদ্রিস মিয়া সহ আরো অনেকেই প্রমুখ। প্রকাশ থাকে যে উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্ক চলবে