কেরানীগঞ্জে বিআরটিএ দালাল হাসিনার দোসর আমজাদ ও মাসুদ গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়

স্টাফ রিপোর্টার:

দুর্নীতিতে ঘেড়া দেশের বিভিন্ন অফিস আদালত। কোন মতেই থামানো যাচ্ছে না এই দুর্নীতি । ৫ ই আগস্ট দুর্নীতির রানী হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরেও থামছে না ঘুষ ও দুর্নীতি।  সামান্য বেতনে মাস্টার রোলে চাকরি করা লোকজন হয়ে যায় কোটিপতি । এরকমই এক মাস্টার রোলে চাকরি করা দুর্নীতিবাজ মাসুদ। ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দালাল সবুজ, আলী হোসেন, ইয়াকুব আলী, হারুন মিয়া, জসিম ও রফিকুল ইসলাম কাজল নামের ৬ দালালকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়ার পরেও থামছে না দালাল চক্র। এই অফিসে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার দালাল । ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে আসা সাধারন মানুষদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে ঘুষ নেয় দালাল চক্র। ওই ঘুষের টাকা মাসুদের মাধ্যমে পৌছে যায় বিআরটিএ ইন্সপেক্টরদের কাছে। ঘুষের টাকা দিয়ে মাস্টার রোলে চাকরি করা মাসুদ ঢাকা জেলার বিভিন্ন জায়গায় কিনেছেন জমি ও বাড়ি। এ বিষয় মাসুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে মাসুদ বলেন আমি সামান্য চাকরি করি, গাড়ি প্রতি ১০০ টাকা পাই জমি-বাড়ি কিনবো কোথা থেকে। ওপরদিকে হাসিনার দোসর আওয়ামী নেতা আমজাদ দীর্ঘদিন যাবদ রাজনীতির সাথে জরিত খেকে বিআরটিএ অফিসে ঘুষের রাম রাজত্ব ক্রাইম করেছিল।  হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই সাবেক বিএনপি নেতা সেলিম মেম্বরের ছত্র ছায়ায় হয়ে যান বিএনপি নেতা। সেলিম মেম্বারের নাম ভাঙিয়ে পুনরায় বিআরটিএ অফিসে আবারো শুরম্ন করেছেন রাম রাজত্ব। এ বিষয় সেলিম মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমজাদ আমার দলীয় কর্মি । কোন সংগঠনের কর্মী জানতে চাইলে বলতে পারেননি। সেলিম বলেন হাসিনা সরকার থাকাকালীন আমি অনেক মামলা খেয়েছি। আমজাদ কয়েকটি মামলা খেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ও মামলা খাবে কেনো। হাসনাবাদ এলাকায় রা¯ত্মাঘাট দোকান পাটে সেলিম মেম্বারের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে ।
কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দালালে ভরা বিষয় বিআরটিএ পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে মাসুদ এবং আমজাদ বিআরটিএ অফিসে চাকরি করেন না । তিনি আরো বলেন তারা দালাল প্রায় সময় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় । আসলে এই দালালদের মূল হোতা কর্মকর্তা কর্মচারীরা । ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে পরিক্ষা দিতে আসা একাধিক ভুক্তভোগী বলেন পরিক্ষায় পাশের জন্য দালালদের চাহিদা মোতাবেক ৩০০০ টাকা না দেয়ার কারনে আমাদের ফেল দেখানো হয় পরে টাকা দিলে আমাদের পরিক্ষায় পাশ দেখানো হয়। এরকম প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ঘুষ বানিজ্য চলে এই অফিসে। মাসুদের কাছে আসা ঘুষের টাকা পৌছে যায় বিআরটিএ ইন্সপেক্টর জমির উদ্দিনের কাছে। আর জমির উদ্দিনের সম্পদের শেষ নেই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *