স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মাষ্টার হাট এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই খালেদ বাহাদুর (পিতা মৃত আব্দুল মোতালেব) নামক এক ভুমিদূর্ষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তিনি সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় তৎপর।
স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের ব্যানার ব্যবহার করে তিনি বসরত মুন্সী বাড়ির মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ চলাকালীন হাফেজ ও ওসি শাহজাহানকে ব্যবহার করে গ্রেফতার করান। এছাড়াও, তিনি মৃতদেহ দাফন সংক্রান্ত কাজে লাশের অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ আছে, গেজু বাহাদুর তার পরিবারকে নিয়েও অশালীন কর্মকাণ্ড চালাতেন। তাঁর স্ত্রী সহ্য করতে না পেরে অন্যত্র চলে যান। এছাড়া সম্প্রতি তিনি সাংবাদিক কামরুল ইসলামের পত্রিকায় সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করেন, দেশীয় অস্ত্র ও কয়েকজন মাদক সেবী সন্ত্রাসীর সঙ্গে উপস্থিত হন। সাংবাদিক কামরুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, যার কারণে তিনি জীবন রক্ষা করতে পালাতে বাধ্য হন।
এই ঘটনায় খালেদ বাহাদুরের সঙ্গে ছিলেন ধান্দাবাজ শাহনেওয়াজ (মন্টু), ধান্দাবাজ জাহেদ, কসাই সোহেল এবং আরও অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন। দখল চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় সাংবাদিক কামরুল ইসলাম ও স্থানীয় কিছু সম্মানিত ব্যক্তির নামে জিডি করা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকরা এবং এলাকার সচেতনরা লোহাগাড়া থানার সাহসী ও চৌকষ ক্যাডেট পুলিশ অফিসার ইনচার্জ ওসি আরিফুল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কিছু দিনের মধ্যেই মানববন্ধন এবং খালেদ বাহাদুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।