খসরু মৃধা:
গাছা থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত ঘটছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা মারামারি, ভাংঙচুর,ফসলের গাছ কেটে ফেলা, মাদক বিক্রি, ডিস ব্যবসা, মিল ফ্যাক্টরি দখল লুটপাটসহ নানা ঘটনা। আর এ লুটপাটে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সাবেক বিএনপি’র নামধারী নেতারা। রমরমা মাদক বাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। কিন্তু এসব বন্ধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না প্রশাসনের মধ্যে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক মাসে গাছা থানার বিভিন্ন স্থানে একাদিক মারামারি লুটপাটের ঘটনা ঘটছে।
পুলিশ অবশ্য পাঁচ’ই অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর ব্যাপক হামলা, অনাস্থা আর আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য পুলিশ কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় কেউ কেউ সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে ।
অপরদিকে গাছা থানার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মাদক বেচা-কেনা বেড়ে গেছে। ইয়াবা, গাঁজা, চোলাই মদ, হিরোইন ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকে সয়লাব হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। আর এতে শেল্টার দিচ্ছেন রাঘব বোয়ালরা।মাদক বিরোধী অভিযানে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাঘব বোয়ালরা।
পুলিশের তালিকায়ও তাদের অনেকের নাম নেই। অভিযোগ উঠেছে বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে সক্ষতা করে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে সালিশি ব্যবস্থাব মাধ্যমে সমাধানের তৎপর প্রশাসন। এতে করে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। গাছা থানায় মামলা বাণিজ্য করতে যেয়ে বিএনপি নেতারাও বহিষ্কার হয়েছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক গাছা থানার কয়েকজন নেতা বলেন,মাদক,ডিস ব্যবসা সহ নানা খাত থেকে বিএনপির নামধারী নেতারা কৈশলে লোক মারাফত এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে। বিষয়টি আমাদের সিনিয়ার নেতারা অবগত আছেন।দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মোহাম্মদ রাশেদ, বলেন অভিযোগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত,অভিযোগ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্হা নিতে আমরা তৎপর আছি।