স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি দপ্তরের নেমপ্লেট ব্যবহার করে এক কর্মকর্তা অবৈধপন্থায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। এমন ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে । অভিযোগ আছে, ঘুস ও অনিয়মের মাধ্যমে ফাইল জিম্মি করে অবৈধপন্থায় চাঁদা নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন রুপগঞ্জ উপজেলার গোলাকাইনদাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মোঃ কামাল হোসেন। যার লিখিত আয়ের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈসাদৃশ্য রয়েছে সম্পদের।
এ কর্মকর্তা বন্দর উপজেলার মৃত রব সরদারের ছেলে। জানা গেছে, মোঃ কামাল হোসেন ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করেন। পরে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী হিসেবে পদোন্নতি পান। এর পর কপাল খুলে যায় এ কর্মকর্তার। পেছনে ফিরে আর তাকাতে হয়নি। কয়েক বছরের ব্যবধানে খারিজ, খাজনা, নামজারি, পর্চার কাজে ঘুস ও দালালি করে অগাধ সম্পদ গড়ে তোলেন এ কর্মকর্তা। শুধু নিজের নামেই নয়, স্ত্রী নামে রয়েছে আলিশান বাড়ি, মার্কেটসহ নামে-বেনামে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদ। বন্দর উপজেলার একরামপুর এলাকায় রয়েছে ব্যতিক্রমী চোখধাঁধানো নজরকাঁড়া ৫ কাঠা জমিতে পাঁচতলা আলিশান বাড়ি। একরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ৭কাঠার প্লটে টিনসেড রিকশার গ্যারেজ। ঢাকায় রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট। এছাড়াও তার নামে বে-নামে রয়েছে বিস্তর সম্পদ। চলাফেরা করেন ৩৫ লাখ মূল্যের একটি প্রাইভেট গাড়িতে। এ ছাড়া নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ড আমিন আবাসিক এলাকায় ২ নাম্বার গলি এস,এস শাহ রোড এলাকায় ১০ কাটার প্লট । চলছে আলিশান বাড়ি নির্মাণের কাজ। শুধু তাই নয়, রয়েছে প্যারাডো গাড়ি ? ভূমি উপসহকারী পদে চাকরি করে কয়েক বছরে হয়ে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক, যা কল্পনাকেও হার মানিয়েছেন। পাঁচতলা বাড়িসহ একাধিক প্লট,ফ্ল্যাট বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, এ এলাকার পাঁচতলা বাড়ি, টিনশেড বাড়িটি ও মার্কেটটিও নায়েব কামাল হোসেন নামেই পরিচিত। প্রতিবেশী চা দোকান্দার একই কথা বলেন। তিনি জানান,পাঁচতলা বাড়িটি কামাল হোসেন নামেই আমরা জানি। বর্তমানে তিনি রুপগঞ্জ উপজেলার গোলাকাইনদাইল ইউনিয়ন ভূমি অফিস বদলি হয়ে বন্দর ইউনিয়ন ভূমি কর্মরত অবস্থায় আছেন এবং একই এলাকাতেই তার নিজেস্ব বাড়ি রয়েছে। তারপরেও উনি একই এলাকায় পর পর তিন বার বদলি হয়ে আসেন এবং বহাল তবিয়তে তার ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক স্বাধীন সংবাদকে বলেন, এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমরা নানা অনিয়মের কথা শুনেছি। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।