মোঃ মাহফুজুর রহমান :
গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৫৭ নং ওয়ার্ড টঙ্গী বাজার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মিতালী পেট্রোল পাম্প। মিতালী পেট্রোল পাম্পের চারপাশ জুরে বিভিন্ন রকমের দোকান বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, এ যেন দেখার কেউ নাই? মিতালী পাম্পের মালিকের বড় ছেলে সাগর সরকারের নেতৃত্বে রাফি আলাউদ্দিন সহ আরো বেশ কয়েকজনকে দিয়ে পাম্পের জায়গায় ছোট বড় প্রায় ৩০/৪০ টি দোকান বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাম্পের তিন পাশে বিভিন্ন শীতের কাপড়, প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি,জুতা সহ বিভিন্ন দোকান বসানো। দোকানিদের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ৫/৭ শত টাকা ভাড়া দিতে হয় এবং বিদ্যুৎ বিল একটি এলএডি লাইটের জন্য ৩/৪ শত টাকা দিতে হয়। একটি দোকানে প্রতিমাসে ভাড়া ১৫/১৭ হাজার টাকা আর বিদ্যুৎ বিলের জন্য ৯/১২ হাজার টাকা দিতে হয়।
এই টাকা না দিলে দোকান বসাতে দেয় না রাফি সাগর সরকার ও তার পি এস আলাউদ্দিন। প্রতিদিনের টাকা প্রতিদিন দিতে হয় একদিন দিতে না পারলে পরের দিন দোকান বসতে দেয় না। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন মিতালী পেট্রোল পাম্পে যে ভাবে দোকান বসিয়েছে সেখানে যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনে দূর্ঘটনা। পেট্রোল,অকটেন দাহ্য পদার্থ মিতালী পেট্রোল পাম্পে ঝুঁকি নিয়ে তেল নিতে হচ্ছে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার সহ বিভিন্ন গাড়ীতে।
এতো ঝুঁকি নিয়ে চলছে মিতালী পেট্রোল পাম্পের ফুটপাত বানিজ্য। এ বিষয়ে পাম্পে তেল নিতে আসা একজন ড্রাইভার বলেন, আমরা মিতালী পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসলে প্রচন্ড ঝুকির মধ্যে থাকি কারণ পাম্পের তিন পাশে বিভিন্ন কাপড়ের দোকান সেখান থেকে যে কোন সময় আগুনের ফুলকি পড়ে যদি আগুন লেগে যায় তাহলে ঘটবে বিশাল দূর্ঘটনা।
তাই পেট্রোল পাম্প চালাতে হলে ফুটপাত এর দোকান গুলো বন্ধ করতে হবে অন্যথায় পাম্প বন্ধ করে ফুটপাতের দোকান চালু থাক। পাম্প মালিকের ছেলে সাগর সরকার এর মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। (ধারাবাহিক চলবে)