মোঃ সোহেল সিমান্ত:
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে আবারও বড় ধরনের ইয়াবা পাচারের চেষ্টাকে ভণ্ডুল করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর একটি যৌথ দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে।
অভিযান পরিচালনা
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় থাকা ইয়াবা চক্রের গতিবিধি নজরদারিতে রাখার পর যৌথ বাহিনী এ অভিযানে নামে।
আটককৃত ব্যক্তি
আটককৃত মাদক কারবারির নাম মোঃ ছলিম (৩০)। তিনি মিয়ানমারের বুথিডং এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মোঃ জাহিদ হোসেন ও মাতার নাম রশিদা বেগম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ছলিম পেশাদারভাবে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং নিয়মিতভাবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারে যুক্ত ছিল।
উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও পরবর্তী ব্যবস্থা
অভিযানের সময় ছলিমের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসব ইয়াবার বাজারমূল্য কোটি টাকারও বেশি বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য
অভিযান পরিচালনাকারী টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি বলেন—
“মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে কেউ যাতে মাদক পাচার করতে না পারে, সেজন্য বিজিবি ও র্যাবের যৌথ টহল অব্যাহত থাকবে।”
সীমান্তে মাদক আতঙ্ক
টেকনাফ-উখিয়া সীমান্ত অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা চোরাচালানের বড় রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই মাদক পাচারের নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করছে চক্রগুলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, নিয়মিত অভিযান ও নজরদারির কারণে ইয়াবা চক্রগুলো দমে গেলেও পুরোপুরি নির্মূল করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
স্থানীয়রা যৌথ বাহিনীর এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন,
“মাদক শুধু সীমান্ত নয়, পুরো দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে। এ ধরনের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।”