প্রতিবেদক- ব্যুরো চিফ মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী
ধানেরশীষ মার্কা বিএনপির পক্ষে
গণসংযোগ করেছেন মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস. এম. আসলাম মণ্ডল যিনি চাঁদাবাজির অভিযোগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আটক হয়েছিলেন। সেই সাথে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
সেই শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস. এম. আসলাম মণ্ডল এবার জামিন পেয়ে গণসংযোগে নেমেছেন যা তৃণমূল পর্যায়ে অনেক সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। গত ৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এসও রোড এলাকায় ট্যাংকলরী শ্রমিক, দোকানপাট ও সাধারণ মানুষের হাতে দোকানপাটও সাধারণ মানু্ষের কাছে। নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেনের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক
দলের আহ্বায়ক এস. এম. আসলাম মণ্ডল। এর আগে গত ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এসএম আসলামকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সে সময় পুলিশ জানিয়েছিলো- গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের এই নেতাকে আটক করা হয়। চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়েছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(২) ধারায় বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ৩০ দিনের আটকাদেশ প্রদান করেছেন। সেই ৩০ দিনের আটকাদেশ শেষে তিনি কারাগার বের হয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। সেই সাথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার এই কার্যক্রম যেন স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না সাধারণ মানুষজন।
সূত্র বলছে, টানা তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতা শেষ চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছিলো আওয়ামী লীগ। যদিও চতুর্থ মেয়াদে এক বছরের বেশি ক্ষমতা স্থায়ী হয়নি। তবে এই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরেই তাদের দখলদারিত্ব বিরাজ ছিলো। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো প্রভাব ছিলো না।
এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেলেও ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে তাদের বিভিন্ন অপকর্ম জনসাধারণের সামনে উঠে আসছে। সেই সাথে অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগের এসকল অপকর্ম পুরোপুরি প্রকাশ হওয়ার আগেই তাদের অপকর্ম যেন ঢেকে যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা। তাদের শাস্তি নিশ্চিত হওয়া আগেই বিএনপির নেতাকর্মীরা নুতন করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা যেসকল অপকর্ম করেছেন তাতেই যেন আড়াল হয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অপকর্ম। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিএনপির নেতাকর্মীদের অপকর্ম নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে।
গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী মূলদর নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। যার মাধ্যমে প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের হাতে লাখ লাখ টাকা উঠে আসছে।