মনজুরুল ইসলাম :
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নে সিংদই গ্রামে দীর্ঘদিন পারিবারিক কলহ সংক্রান্ত বিরোধে একই বংশীয় পরিবারের চাচী, চাচাত ভাইদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনের মাথায় ও আর একজনের বুকে এবং হাতের হাড়ভাঙা গুরুতর জখম দেখে নান্দাইলের ডাক্তাররা জরুরি ভাবে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে একজনকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হামলার ঘটনায় (২৫-১১-২০২৫ইং) থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গত (২০-১১-২০২৫ইং) বৃহস্পতিবার বিকেল ০৪.০০ ঘটিকার সময় আসামীগন পরস্পর দলবদ্ধ হইয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মারামারির উদ্দেশ্যে রামদা, প্লাস্টিকের পাইপ,লোহার রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে বাদীর বাবা আঃ কাদির (৬৬) কে তার ঘরের সামনে চতুর্দিক ঘেরাও করিয়া এক পর্যায়ে ২নং আসামি রফিক মিয়ার হুকুমে ১নং আসামি সিরাজুল ইসলাম কাঞ্চন (৫২) পিতা হাজি নুরুল আমিন তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে মাথায় কোপ মারিয়া হাড়কাটা গুরুতর জখম করে। তার চিৎকার শুনিয়া আঃ কাদিরের ছেলে সিরাজুল ও তার চাচা হিরা মিয়া (৬৪) দৌড়ে আসিয়া আসামিদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করিলে ২নং আসামি রফিক মিয়া (৫৫) পিতা মৃত হাফিজ উদ্দিন তার হাতে থাকা রড দিয়ে স্বজোরে আঘাত করে তাতে হিরা মিয়ার হাতের কনুইয়ের হাঁড় ভেঙ্গে যায়, এবং মাটিতে পরে যায়।
তখন ৩নং আসামি মামুন মিয়া (২০) পিতা মানিক মিয়া, তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করিলে হিরা মিয়ার বুকের হাঁড় ভেঙ্গে যায়।
এই মূহুর্তে বাদী সিরাজুল ইসলাম তাদের বাধা দিলে ৪নং আসামি আবুল মুনসুর (৫৫) পিতা নুরুল আমিন, তার হাতের বাঁশের লাঠি নিয়ে এলোপাতাড়ি বাদী সিরাজুল ইসলামকে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। তখন আসামি মানিক মিয়া (৬০) , পলক মিয়া (১৮), হাবিব মিয়া (৬০) দিলোয়ারা খাতুন (৫৫) স্বামী মানিক মিয়া ও শাহানাজ (৫৯) স্বামী রফিক মিয়া, তাদের হাতে থাকা প্লাস্টিকের পাইপ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে সিরাজুল ইসলাম তার বাবা আঃ কাদির ও চাচা হিরা মিয়াকে বেদম মারপিট করে। চলে যাওয়ার আগে বলে যায় মামলা করলে তোদের সবাইকে মেরে ফেলবো।
উল্লেখ্য যে মোঃ হিরা মিয়া (৬৪) বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। ডাক্তার বলেছেন তার হাতের কনুইয়ে এবং বুকে মারাত্মক আঘাতের কারণে বহুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।