মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী,ব্যুরো চিফ:
নারায়ণগঞ্জে র্যাব ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে পুরুষ ও নারীসহ ১৫ দালালকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। সোমবার দুপুরে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে এ অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আটক ব্যক্তিরা হলেন: মো. চিনু ইসলাম (৩৮), সুমন মিয়া (২৫), কামরুল ইসলাম (৩০), মো. আলমগীর কবির (৪৫), মো. মাসুম (৪০), মো. ফরিদ (২৫), মো. রবিন (৩৮), শিউলি আক্তার (৩৫), ফরিদা পারভীন (৫২), মোছা. আম্বিয়া (৪৮), রাজিয়া বেগম (৪৫), কাকুলি আক্তার (৩৬), মোছা. শিউলি (৪০), মোছা. রোখসানা (৫০) এবং মোছা. মাকছুদা (২৫)। র্যাব জানায়, আটককৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খানপুর হাসপাতালে আটক ১৫ দালাল নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার টিএম রাহসিন কবির অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এ সময় র্যাব-১১ এর এএসপি আল মাসুদ খানসহ র্যাবের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার টিএম রাহসিন কবির বলেন, “যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে প্রমাণ সাপেক্ষে আমরা ১৫ জনকে আটক করেছি। তাদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অমান্য করার দায়ে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ৭ জন পুরুষ ও ৮ জন নারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মো. আল মাসুদ খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে কিছু দালাল, পুরুষ ও নারী, দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যেতেন। সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগসাজশে অতিরিক্ত পরীক্ষা করিয়ে বেআইনিভাবে অর্থ উপার্জন করতেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সোমবার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।”