কামরুল ইসলাম:
পটিয়া ও বোয়ালখালী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে মোঃ গিয়াস উদ্দিন @ সাব্বির এবং মোঃ বছিরুল হক @ শাহিনকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে বোয়ালখালী থানা পুলিশ ১১ মে ২০২৫ তারিখ রাত ১:৩০ মিনিটে শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারী পুল এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করে। এ সময় তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত তিনটি মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পটিয়া সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন @ সাব্বির (৩১), পিতা-মোঃ নুরুল আবছার, মাতা-জাহানারা বেগম, সাং-হুলাইন (খালেক মেম্বারের বাড়ি), ২নং ওয়ার্ড, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত গিয়াস উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) জনাব আরিফুল ইসলাম, পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আবু জায়েদ মোঃ নাজমুন নূর ও বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
ওই অভিযানিক দল ১১ মে ২০২৫ তারিখ রাত ২:৫৫ মিনিটে পটিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডস্থ আলোছায়া আবাসিক ভবনের (ডা. আইয়ুব নবীর বাড়ি) চতুর্থ তলার সি-৪ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে তারা গ্রেফতার করে মোঃ বছিরুল হক @ শাহিন (২৩), নিষিদ্ধ ঘোষিত পটিয়া ছাত্রলীগের সদস্য, পিতা- মৃত আবুল হোসেন, মাতা- মজুনা খাতুন, সাং-চাটুয়া (ফুল গাজীর বাড়ি), ৪নং ওয়ার্ড, ১৫নং ছনখরা ইউনিয়ন, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম।
বছিরুল হকের নিজ হাতে বের করে দেওয়া তথ্যমতে ফ্ল্যাটটির ড্রয়িং রুমের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়:
১) একটি একনলা বন্দুক
২) তিনটি লেডবল গুলি
৩) চারটি পিস্তলের গুলি
৪) একটি লোহার পাত
৫) একটি কাঠের হাতলযুক্ত চাকু
৬) একটি স্টেইনলেস স্টিলের নানচাকু (দুই হাতলবিশিষ্ট ও শিকল দ্বারা সংযুক্ত)
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সামগ্রী জব্দপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুই আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।