নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি পরিচালিত খন্দকার মাহবুবুর রহমান চক্ষু হাসপাতালের চেয়ারম্যানের পদ দখল করে থাকা বিএনপি মরহুম নেতা খন্দকার মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী ফারহাত হোসেনের পদত্যাগে এক ধরণের স্বস্তি ফিরেছে হাসপাতারের ডাক্তার কর্মকর্তা কর্মচারিদের মাঝে।ব্যাপক অনিয়ম, তহবিল তসরুপ স্বজন প্রীতির মাধ্যমে হাসপাতালটিে ধবংশের শেষ সীমায় নিয়ে যাওযার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে ফারহাত হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, দূর্নীতি স্বজন প্রীতি ও ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের আখড়ায় পরিনত করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও মরহুম বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী ফারহাত হোসেন। প্রতিবাদের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। কিন্ত এতে যে কোন সময়ে বড় ধরণের সংঘষের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি পরিচালিত খন্দকার মাহবুবুর রহমান চক্ষু হাসপাতালের চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুবুর রহমান। তিনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় হাপাতালের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে তার স্ত্রী ফারহাত হোসেন। সে সময় হাসপাতালের কোটি টাকা দামী গাড়ী নিজের জিম্মায় নেন ফারহাত হোসেন। আজও হাপাতালের সে গাড়ী তিনি নিজে ও পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন। মাহবুবুর রহমানের মৃত্যুর পর অনেকটা জোর করেই চেয়ারম্যানের চেয়াওে বসেন ফারহাত হোসেন। শুরু করেন ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি। যা প্রতিষ্ঠানটিকে একেবারেই ধবংশের শেষ প্রান্তে নিয়ে এসেছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির ভিতরে এক নতুন অশান্তির হাওয়া বইছে। সমিতির সদস্যরা অভিযোগ করছেন, বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অনৈতিক কার্যকলাপ ও দুর্নীতি তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এটি একটি ভয়াবহ সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে সমিতির সাধারণ সদস্যরা নিজেদের অধিকার ও নিরাপত্তার জন্য আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রতিবন্ধী জনগণের জন্য কাজ করা এই সমিতির বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। খন্দকার মাহবুবুর রহমানের র্মত্যুর পর তার স্ত্রী ফারহাত হোসেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ফারহাত হোসেন কর্তৃত্বে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তার নেতৃত্বে সমিতির অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি চলে যায়, আর যারা তার পক্ষ নেন, তাদেরকে পদোন্নতি দেয়া হয়। এর ফলে, সমিতির অভ্যন্তরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, ফারহাত হোসেন নিজের ব্যক্তিগত সুবিধার্থে সমিতির গাড়ি এবং অন্যান্য সম্পদ অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। তার এই কর্মকাণ্ডে কেবল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং সমিতির আর্থিক অবস্থা ও শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে, তিনি সন্ত্রাসী ভাড়া করে কিছু কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেছেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।এই পরিস্থিতিতে, সমিতির কর্মচারীরা তাদের দাবি নিয়ে সমিতির পরিচালনা পরিষদে প্রতিবাদ জানান। তারা ফারহাত হোসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন, যার মধ্যে রয়েছে আর্থিক অনিয়ম, অবৈধ ক্রয়, এবং সমিতির সম্পদ আত্মসাৎ।
এছাড়া, ফারহাত হোসেনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি সমিতির খাত থেকে লক্ষাধিক টাকা প্রতিমাসে নিজের গাড়ীর তৈল খরচ হিসেবে তুলে নিয়েছেন। এর বাইরে নানা খাত দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই দূর্নীতিবাজ মহিলা। জানা যায়, এর আগেও দূর্নীতির কারণে ফারহাত হোসেনকে হাসপাতালের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কিন্তু তিনি আদালতের মাধ্যমে সে বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আদেশ এনে দায়িত্ব পালনের নামে দূর্নীতির মহাযোগ্য চালিয়ে যেতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাপক প্রতিবাদেও মুখে অবশেষে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, অন্ধ কল্যাণ সমিতি এখন একটি সংকটময় সময় পার করছে, যেখানে দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অনেক সদস্য ক্ষুব্ধ।