প্রতিবেদক- ব্যুরো চিফ মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী
আজ ১১-১০-২৫ রোজ শনিবার বাদ মাগরিব সিটি পার্কে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা জোরদারের জন্য যা করা দরকার
আমাদের দেশে সংঘটিত অগ্নি দুর্ঘটনার বেশিরভাগ সংঘটিত হয় বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে বা বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে। এ কারণে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মেনে চলা যেতে পারেঃ বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার জন্য ইলেকট্রিক অ্যাক্ট ১৯১০ এবং ইলেকট্রিক রুলস ১৯৩৯ জানতে এবং মেনে চলতে হবে।
সঠিক মানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার অন্যতম শর্ত। নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম অগ্নি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এজন্য গুণগত মান বজায় রাখতে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, তার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সঠিক এম্পায়ারের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদিত ও উপযুক্ত বিদ্যুৎ প্রকৌশলী নিয়োগ করুন। বহুতল ভবন করে সেই অনুযায়ী বৈদ্যুতিক সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
এবং বাণিজ্যিক ভবন ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে এসএলডি (সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম) প্রণয়ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘর-বাড়ি বৈদ্যুতিক স্থাপনা থেকে নিরাপদ দূরত্বে নির্মাণ করুন। সকল সার্কিট যথোপযুক্ত ফিউজ ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ রাখতে হবে। সকল সুইচ সরবরাহ লাইনের ফেজের সাথে সংযুক্ত থাকবে। বাসায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন ফ্রিজ, ওভেন, টেলিভিশন, কম্পিউটার ইত্যদি সঠিকভাবে আর্থিং করা থাকতে হবে।
সিংগেল ফেজের জন্য দুই মেরু ও থ্রি ফেজের জন্য চার মেরু বিশিষ্ট মেইন সুইচ ব্যবহার করতে হবে।
বাড়ি নির্মাণের সময় নিকটবর্তী বৈদ্যুতিক লাইন থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে গাছ লাগানোর সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন ওভারহেড লাইন থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকে।
বিকল্প জেনারেটর স্থাপনের সময় সঠিক রেটিং-এর চেঞ্জ ওভার সুইচ ব্যবহার করতে হবে। দক্ষ অপারেটর দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। পরিদর্শন বা রক্ষণাবেক্ষণ ব্যতিরেকে অন্যান্য সময় উচ্চ বৈদ্যুতিক ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ স্থাপনার প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখতে হবে।
দক্ষ ও অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত বৈদ্যুতিক স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা যাবে না। কাজ করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে লাইন ও যন্ত্র সামগ্রীর বৈদ্যুতিক সংযোগ পরিপূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে কিনা, প্রতিটি ফেজ টেস্ট করে প্রয়োজনে গ্রাউন্ডিং করে দিতে হবে। প্রতিটি কর্মীকে কাজের সময় উপযুক্ত পোশাক পরিধান করতে হবে। ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক সুইচ ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা যাবে না।
বহনযোগ্য মই দিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মই ধরে রেখে কাজ করতে হবে যেন কোন ভাবেই পিছলে পড়ে না যায়।
কার্যক্ষেত্রে ব্যবহারের যন্ত্রপাতি সমূহ সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে এবং যথোপযুক্ত ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি বাদ দিতে হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ আছে এমন লাইন বা যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করার সময় পরিবাহী বস্তু নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব বলতে ১১ কেভির জন্য ন্যূনতম ২ ফুট এবং ৩৩ কেভির জন্য ন্যূনতম ৩ ফুট বোঝাবে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষে বললেন মোঃ আব্দুল্লাহ আল আরেফিন {ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর } ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ।